ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

ঢাকায় ছুটবে ৬ ওয়াগনের ‘ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৭ ঘণ্টা, জুন ৪, ২০২০
ঢাকায় ছুটবে ৬ ওয়াগনের ‘ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন’ সংবাদ সম্মেলন। ছবি: বাংলানিউজ

রাজশাহী: ছয়টি ওয়াগন (মালগাড়ি) চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে রাজশাহী রেলস্টেশন হয়ে ঢাকা রুটে চালু হচ্ছে একটি ‘ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন’।

ট্রেনটির চালুর জন্য এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। শুক্রবার (৫ জুন) বিকেল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই রুটে ‘ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন’ তার নতুন যাত্রা শুরু করবে।

বৃহস্পতিবার (৪ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (পাকশী) ফুয়াদ হোসেন আনন্দ এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।

রাজশাহী রেলস্টেশনের ভিআইপি ওয়টিং রুমে ‘ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন’ চালু উপলক্ষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা আহছান উল্লাহ ভুঁইয়া, রাজশাহী রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক আবদুল করিম উপস্থিত ছিলেন।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (পাকশী) ফুয়াদ হোসেন আনন্দ জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহী থেকে আমসহ অন্যান্য পার্সেল পরিবহনের জন্য বিশেষ এই ট্রেনটি চালু করা হচ্ছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে যখন ঢাকা যাবে তখন ট্রেনটির নাম হবে ‘ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন-২’। আর ঢাকা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফেরার পথে নাম হবে ‘ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন-১’। ট্রেনটি সপ্তাহে প্রতিদিন চলাচল করবে।

প্রতিদিন চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে বিকেল ৪টায় ছেড়ে আসবে। রাজশাহী রেলস্টেশনে পৌঁছাবে ৫টা ২০ মিনিটে। এখানে ৩০ মিনিট বিরতি দেবে। পরে বিকেল ৫টা ৫০ মিনিট মিনিটে ট্রেনটি আবারও ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবে।

ট্রেনটি ঢাকায় পৌঁছাবে রাত ১টায়। ঢাকা থেকে ট্রেনটি রাত ২টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে আসবে। রাজশাহী পৌঁছাবে সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে। এখানে ২০ মিনিট থেমে ট্রেনটি চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। পৌঁছাবে সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে।

ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেনটিতে মোট ছয়টি ওয়াগন (মালগাড়ি) থাকবে। প্রতিটি ওয়াগনে ৪৫ হাজার কেজি আম পরিবহন করা যাবে। তবে কেবল আম নয়, সব ধরনের শাকসবজি, ফলমূল, ডিমসহ কৃষিজাত পণ্য রেলওয়ের আইনে পার্সেল হিসেবে বহনযোগ্য সব ধরনের মালামাল বহন করা হবে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ছেড়ে এসে ট্রেনটি আমনুরা বাইপাস, কাঁকনহাট, রাজশাহী, সরদহ, আড়ানি ও আব্দুলপুর বাইপাস স্টেশনে থামবে। এসব স্থানে আমসহ পার্সেল পণ্য ট্রেনে তোলা হবে। এরপর টাঙ্গাইল, মির্জাপুর, কালিয়াকৈর, জয়দেবপুর, টঙ্গী, বিমানবন্দর, ক্যান্টনমেন্ট, তেজগাঁও এবং কমলাপুর স্টেশনে ট্রেনটি থামবে।

ফেরার পথে ট্রেনটি তেজগাঁও, টঙ্গী, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, চাটমোহর এবং রাজশাহী স্টেশনে থামবে। তবে যাত্রাপথে কোথাও সাধারণ যাত্রী এ ট্রেনে তোলা হবে না।

ট্রেনটিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে এক কেজি আমের ভাড়া লাগবে এক টাকা ৩০ পয়সা। আর রাজশাহী রেলস্টেশন থেকে এক কেজি আম ঢাকার বিমানবন্দর, তেজগাঁও বা কমলাপুর রেলস্টেশনে পরিবহন করতে খরচ পড়বে ১ টাকা ১৮ পয়সা। এছাড়া নিয়মানুযায়ী ট্রেন ছাড়ার আগে যে কেউ তাদের মালামাল বুকিং দিতে পারবেন।

বৃহস্পতিবার এ সংবাদ সম্মেলনে পশ্চিম রেলের ডিসিও (পাকশী) ফুয়াদ হোসেন আনন্দ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা ভাইরাসের এই দুর্যোগকালে চাষিদের পাশে থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন। তাই চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী থেকে এবারই প্রথম এ ধরনের ট্রেন চালু করা হচ্ছে। লকডাউনে বেশিরভাগ ট্রেন বন্ধ থাকায় ট্র্যাক যেমন ফাঁকা থাকছে তেমনি অনেক ইঞ্জিনও পড়ে আছে। তাই এটা সম্ভব। কিন্তু সব ট্রেন যখন চালু হবে কিংবা আমের মৌসুম শেষ হলে এটি চালানো সম্ভব হবে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৩ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০২০
এসএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।