বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় পিরোজপুর ব্যতীত বিভাগের পাঁচ জেলায় ৫৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে বিদেশি নাগরিকসহ ভিন্ন জেলা (সংক্রমিত) থেকে আসা ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিনে রাখার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
যারমধ্যে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয় ১৪ হাজার ১৭১ জনকে। এরমধ্যে ১১ হাজার ৭৩৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বর্তমানে বিভাগের বিভিন্ন জেলায় হাসপাতালে (প্রতিষ্ঠানিক) কোয়ারেন্টিনে এক হাজার ৪৪ জন রয়েছেন। এ পর্যন্ত ৭৯৪ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
এর বাইরে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ বিভাগের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসা পাওয়া রোগীর সংখ্যা ৭৬৮ জন। এরইমধ্যে ৩৪১ জনকে ছাড়পত্রও দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এ পর্যন্ত শুধুমাত্র বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আইসোলেশন ও করোনা ওয়ার্ডে মোট ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। যারমধ্যে সাতজন করোনা পজেটিভ রোগী ও বাকিরা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন।
এদিকে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানান, বিভাগের মধ্যে এ পর্যন্ত বরিশাল জেলায় ৪৬৮ জন, পটুয়াখালীতে ৭২ জন, ভোলায় ৫৩ জন, পিরোজপুরে ৭৮ জন, বরগুনায় ৭৭ জন ও ঝালকাঠিতে ৫৮ জনের করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। যারমধ্যে গোটা বিভাগে ১৫৯ জন করোনা পজেটিভ রোগী সুস্থ হয়েছেন। যাদের এরইমধ্যে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া মৃত্যু হওয়া করোনা পজেটিভ ১৫ জনের মধ্যে পটুয়াখালী জেলার সদর উপজেলা, গলাচিপা, মির্জাগঞ্জ ও দুমকিতে একজন করে চারজন, বরিশাল নগরের কাজীপাড়ায় একজন, বাকেরগঞ্জে একজন ও মুলাদীতে দু’জনসহ চারজন, বরগুনা জেলার আমতলী ও বেতাগীতে একজন করে দু’জন, ঝালকাঠির নলছিটি ও কাঠালিয়াতে একজন করে দু’জন, পিরোজপুরের নেছারাবাদ ও নাজিরপুরে একজন করে দু’জন ও ভোলার লালমোহনে একজন রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪২ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০২০
এমএস/আরবি/