ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

প্রকৃতির তাণ্ডবের পরও লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে নওগাঁর আম

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২২ ঘণ্টা, জুন ৪, ২০২০
প্রকৃতির তাণ্ডবের পরও লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে নওগাঁর আম গাছে ঝুলছে কাঁচা আম। ছবি: বাংলানিউজ

নওগাঁ: নওগাঁর বাগানে বাগানে চলছে আম সংগ্রহ। আম পাড়া ও আম প্যাকিংয়ে দিনরাত নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন চাষিরা।

চলতি মাসের পহেলা জুন থেকে নওগাঁয় আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে আম পাড়া। দেশে আম্পানসহ বেশ কয়েকটি প্রাকৃতিক তাণ্ডবের পরও লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে আমের ফলন।

শুরুতেই পাড়া হচ্ছে গুটি, গোপালভোগ ও খিরশাপাত জাতের আম।

জেলার পোরশা উপজেলার দুয়ার পাল গ্রামের আম চাষি আনিছুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ৪০ বিঘা জমির ওপর আম বাগান আছে আমার। বাগানে গোপালভোগ, ক্ষিরশাপাত, হিমসাগর ও ল্যাংড়া জাতের আম রয়েছে। নানা রকম প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরেও গাছে প্রচুর আম আছে। প্রশাসনের পরিকল্পনা অনুযায়ী সঠিক সময়ে আম পাড়া শুরু করা হয়েছে। এখন যদি সঠিকভাবে আমগুলো বাজারজাত করতে পারি তাহলে লাভবান হওয়া যাবে।

শরিফুল বাংলানিউজকে জানান, করোনা দুর্যোগের কারণে বাইরের ব্যবসায়ীদের বাগানে এসে আম কিনতে বেশ অনাগ্রহ রয়েছে। এখনো সেভাবে বাহিরের ব্যবসায়ীরা আসেনি। আর তাই স্থানীয় বাজারগুলোতেই আম বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে চাষিরা। বর্তমান বাজারে প্রতি মণ গুটি জাতের আম এক হাজার, গোপালভোগ ১২শ’ ও কিছু জায়গায় ক্ষিরশাপাত বিক্রি হচ্ছে ১৬শ’ টাকা পর্যন্ত।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী পরিচালক গোলাম ফারুক বাংলানিউজকে জানান, আম বাজারজাতকরণে প্রশাসনসহ কৃষি বিভাগের পক্ষ থেক বিশেষ ব্যবস্থাপনা নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি আম বাজারজাতকরণ জটিলতা কাটাতে স্থানীয় উদ্যোক্তাদের দিয়ে অনলাইনে আম বিক্রির সিদ্ধান্তও নিয়েছে কৃষি বিভাগ এবং বাহিরের ব্যবসায়ীদের জন্য থাকবে করোনা কালীন বিশেষ ব্যবস্থাপনা।

জেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী এ বছর জেলায় আম চাষ হয়েছে প্রায় ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে। সব ঠিকঠাক থাকলে এ বছর ১২শ’ কোটি টাকার আম কেনাবেচা হবে নওগাঁয়।

বাংলাদেশ সময়: ০৯২০ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০২০
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।