ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

জলজ সম্পদের টেকসই ব্যবহারে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার আহ্বান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১০ ঘণ্টা, জুন ৩, ২০২০
জলজ সম্পদের টেকসই ব্যবহারে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং

ঢাকা: মহাসাগরের ও অন্যান্য জলজ সম্পদের টেকসই ব্যবহার নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ জন্য তিনটি প্রস্তাবও দেন তিনি।

বুধবার (০৩ জুন) রাতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সুইজারল্যান্ডে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম আয়োজিত ‘ভার্চ্যুয়াল মহাসাগর সংলাপ’ দেওয়া বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মহাসাগরের ও অন্যান্য জলজ সম্পদের টেকসই ব্যবহার নিশ্চিতের জন্য, বিশেষ করে প্রযুক্তি সুরক্ষা এবং বাজারে পণ্য প্রবেশে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা আরও বাড়াতে হবে।

তিনি বলেন, ভবিষ্যতের প্রজন্মকে সবল করে গড়ে তোলার জন্য সমুদ্রসম্পদ গুরুত্বপূর্ণ। কাজেই আসুন আমরা হাতে হাত রেখে সমুদ্র অ্যাকশনের জন্য আমাদের প্রতিশ্রুতির নবায়ণ করি।

মহাসাগর ও অন্যান্য জলজ সম্পদের টেকসই ব্যবহারে বৈশ্বিক সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য তিন দফা প্রস্তাবও রাখেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী তার প্রথম প্রস্তাবে সামুদ্রিক সম্পদের পরিপূর্ণ সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনীয় সম্পদ, সক্ষমতা ও প্রযুক্তিসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহায়তা করার আহ্বান জানান।

দ্বিতীয় প্রস্তাবটিতে আঞ্চলিক মাছের উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো ও অবৈধ, অননুমোদিত ও অনিয়ন্ত্রিত মাছ নির্মূল বন্ধের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে মৎস্য উন্নয়ন বিষয়ে যৌথ গবেষণা পরিচালনার উপর জোর দেন তিনি।

তৃতীয় প্রস্তাবে উপকূলীয় বাসস্থান ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় মাছের উৎস চিহ্নিতকরণ এবং এর ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন শেখ হাসিনা।

 

করোনা ভাইরাস মহামারির কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, মহাসাগরের স্বাস্থ্য এবং মানুষের স্বাস্থ্যের মধ্যে যে যোগসূত্র রয়েছে তা নিয়ে এ মহামারি সবাইকে নতুন করে চিন্তা করতে বাধ্য করেছে, কেন না অসুস্থতা মোকাবিলায় সমুদ্র একটি বড় উৎসের যোগান দাতা।

একটি স্বাস্থ্যসম্মত মহাসাগর খাদ্য ও পুষ্টির একটি সুবিশাল উৎস উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমুদ্র এখন যা করছে তার চেয়েও ছয় গুণ বেশি খাবার সরবরাহ এবং পুষ্টিপূরণে সহায়তা করতে পারে।

দারিদ্র্য দূরীকরণ, খাদ্য নিরাপত্তা ও জলবায়ু পরিবর্তন থেকে শক্তি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও উন্নত স্বাস্থ্য খাতে ২০৩০ আলোচ্যসূচির ব্যাপক লক্ষ্যগুলোর ক্ষেত্রে মহাসাগরের অবদানের কথা উল্লেখ করেন তিনি।

২০২০ সালের গ্লোবাল নিউট্রিশন রিপোর্টের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনূর্ধ্ব-৫ বছর বয়সী সব শিশুর প্রায় এক চতুর্থাংশ শিশু অপুষ্টির শিকার।

মাছের মজুদের উপর জলবায়ু পরিবর্তনের মারাত্মক প্রভাবের কথা উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।

একই অধিবেশনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অ্যালায়েন্স ফর এ গ্রিন বেভ্যুলুশন ইন আফ্রিকার (এজিআরএ) সভাপতি আগ্নিস মাতিলডা কালিবাটা, ফোর এসডির পরিচালক ডেভিড নাবারো এবং ওয়ার্ল্ড ফিস’র ভ্যালু চেইন এবং পুষ্টি বিষয়ক রিসার্চ প্রোগ্রাম লিডার শকুন্তলা থিলসটেড।

‘দি হাই সীজ:অপারেটিং উইথইন দ্য গ্লোবাল কমন্স’ শীর্ষক অপর একটি অধিবেশনে প্রচার করা হয় কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাষ্টিন ট্রুডোর ধারণ কৃত ভাষণ।

 ‘সাসটেইনেবল ওশান ইকোনমি’ শীর্ষক  একটি অধিবেশনে আগামীকাল ভিডিও  বার্তা দেবেন নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী এর্না সোলবার্গ।

গেল ১ জুন ফিজির প্রধানমন্ত্রী জসায়া ভোরিগ বাইনিমারামা’র ভিডিও বার্তা প্রচারের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় এ সম্মেলন।

মহাসাগর সংলাপে জর্ডানের রানী নূরসহ অন্য অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে রয়েছে- সুইডেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পরিবেশ এবং জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রী ইসাবেলা লোভিন প্রমুখ।

 

পাঁচ দিনব্যাপী এ সংলাপ গত ১ জুন শুরু হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২৩০৫ ঘণ্টা, জুন ০৩, ২০২০
এমইউএম/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।