বুধবার (৩ জুন) দুপুরে উপজেলার ভরতখালী ইউনিয়নের বরমতাইড় এবং আদর্শ গ্রামে ভাঙনের এমন দৃশ্য চোখে পড়ে।
যমুনা নদী এ দুটি গ্রাম থেকে দেড় থেকে দুইশ মিটার দূরত্বে অবস্থান করছে।
ভরতখালী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান শামছুল আজাদ শীতল বাংলানিউজকে জানান, উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেইসঙ্গে শুরু হয়েছে ব্যাপক ভাঙন। এরই মধ্যে উপজেলার ভরতখালী ইউনিয়নের বরমতাইড় এবং আদর্শ গ্রামের শতাধিক পরিবারের বসতভিটা ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে মানবেতর জীবন যাপন করছেন ওইসব পরিবারের সদস্যরা।
তিনি আরো জানান, দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে ভাঙনের শিকার গ্রাম দুটি যমুনার গর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ভাঙন আতঙ্কে ইতোমধ্যেই সহস্রাধিক পরিবার বাড়িঘর সরিয়ে নিয়ে অন্যত্র চলে গেছে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, করোনায় শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে, ভাঙনকবলিত এলাকায় বালুর জিও ব্যাগ ফেলানো হচ্ছে।
ভাঙনকবলিত ভরতখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ উল্যাহর মাঝিপাড়া ও আদর্শ গ্রাম দুটোকে ভাঙনের কবল থেকে রক্ষায় প্রয়োজনীয় সম্ভাব্য সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘন্টা, জুন ০৩, ২০২০
আরএ