বুধবার (৩ জুন) সকালে অভিযুক্ত স্বামী হাবিবুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২ জুন) দিনগন রাত সাড়ে ১১টার দিকে চাকিরপাশা ইউনিয়নের রতিরাম কোমলওঁঝা চওড়া গ্রামে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত গৃহবধূ উপজেলার চাকিরপাশা ইউনিয়নের রতিরাম কোমলওঁঝা চওড়া গ্রামের বাশারত উল্লাহর মেয়ে এবং অভিযুক্ত স্বামী হাবিবুর রহমান (২৫) উপজেলার নাজিমখাঁন ইউনিয়নের মানাবাড়ি কালিরহাট গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, দাম্পত্য কলহের জেরে হাবিবুর রহমানের স্ত্রী বিউটি বেগম দীর্ঘদিন ধরে তার বাবার বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। মঙ্গলবার রাতে স্বামী হাবিবুর রহমান তার শ্বশুরবাড়িতে এসে পরিকল্পিতভাবে তার স্ত্রীকে ফুঁসলিয়ে বাইরে ডেকে নিয়ে তার পেটে ও গলায় ছুরিকাঘাত করেন। এ সময় বিউটির চিৎকারে পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে ছুটে এলে স্বামী হাবিবুর রহমান ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় গৃহবধূকে রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তাদের সংসারে চার বছর বয়সী একটি শিশুকন্যা রয়েছে। পুলিশ রাতেই মরদেহ উদ্ধার এবং অভিযান চালিয়ে বুধবার সকালে নাজিমখাঁন থেকে অভিযুক্ত স্বামী হাবিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করে পুলিশ।
রাজারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু সরকার বাংলানিউজকে জানান, ঘটনার ৮ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পরকীয়া প্রেম নিয়ে দাম্পত্য কলহের কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত হাবিবুর। তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, জুন ০৩, ২০২০
এফইএস/এএটি