দৌলতদিয়ার লঞ্চ ও ফেরিঘাট দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন ও লাখ লাখ সাধারণ যাত্রী পদ্মা নদী পাড়ি দিয়ে ঢাকায় যায়।
ঈদ মৌসুমে এই রুটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়ে যায় কয়েকগুন।
ঈদের ছুটি শেষে গ্রামে আসা মানুষগুলো জীবিকার তাগিদে ইতোমধ্যেই ফিরে গেছে ইট পাথরের শহর ঢাকায়। দৌলতদিয়া ঘাট এখন অনেকটাই ফাঁকা।
বুধবার (৩ জুন) সকাল থেকে যাত্রী ও যানবাহনের জন্য অপেক্ষায় বসে আছে ১৬টি লঞ্চ ও ১৪টি ফেরি।
অল্প সংখ্যক যানবাহন ও যাত্রী পারাপারে সকাল থেকে কয়েক ট্রিপ লঞ্চ ও ফেরি চলেছে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক আব্দুল্লাহ রনি জানান, দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌপথে যানবাহন ও যাত্রী পারাপারে ১৪টি ফেরি চলাচল করছে। যানবাহন ও যাত্রীর চাপ একেবারেই কম।
দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌ-পথের লঞ্চ মালিক সমিতির সুপারভাইজার মিলন হোসেন বলেন, দীর্ঘ দুই মাসেরও বেশি সময় এই রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় লঞ্চ মালিকদের অনেক লোকসান হয়েছে। স্টাফদেরও ক্ষতি হয়েছে। বর্তমানে ১৬টি লঞ্চ চলাচল করছে। যাত্রীদের জন্য ঘাটে জীবাণুনাশক স্প্রে, সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়া ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) মো. আশিকুর রহমান জানান, ঘাট এলাকা ও ফেরিতে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যাত্রীদের জান মালের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছে। তবে মানুষকে নিজ নিজ জায়গা থেকে সচেতন হতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২০২ ঘণ্টা, জুন ০৩, ২০২০
আরএ