ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

রৌমারীতে ভারতীয় হাতির তাণ্ডব, ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১৩ ঘণ্টা, জুন ৩, ২০২০
রৌমারীতে ভারতীয় হাতির তাণ্ডব, ফসলের ব্যাপক ক্ষতি পাকা ধানক্ষেতে বন্য হাতির তাণ্ডব। ছবি: বাংলানিউজ

কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বেশ কয়েকটি সীমান্তবর্তী গ্রামে ভারতীয় বন্য হাতির দলের তাণ্ডবে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষকরা। ঢাক-ঢোল বাজানোসহ আগুন জ্বালিয়েও হাতি তাড়ানোর চেষ্টা ব্যর্থ হচ্ছে।

ভারতের গারোহিল পাহাড় থেকে নেমে আসা ২০/২৫টি করে একাধিক হাতির দল কালাইচর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের রৌমারী উপজেলার অভ্যন্তরে প্রবেশ করছে। ৭/৮ দিন ধরে প্রতিরাতেই সীমান্ত পেরিয়ে বন্য হাতির দল রৌমারী উপজেলার আলগারচর, খেওয়ারচর, বকবান্দা, ঝাউবাড়ী, চুলিয়ারচর ও বড়াইবাড়ীর চরসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় ঢুকে পড়ে পাকা ধানসহ বিভিন্ন ফসল খেয়ে ও পা দিয়ে পিষে নষ্ট করছে।

সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোর একাধিক কৃষকরা জানায়, আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার ১০৫৭ থেকে ১০৭২ এর মধ্য দিয়ে প্রতিরাতে বন্য হাতির দল বাংলাদেশে প্রবেশ করে রাতভর ফসলের ক্ষতি করে নো-ম্যান্স ল্যান্ডে অবস্থান নেয়। আবারো রাতের আঁধারে প্রবেশ করে ফসলের ক্ষেতে তাণ্ডব চালায়, শুধু তাই নয় খাবার না পেলে কৃষকের ঘর-বাড়িতেও হামলা চালায় বন্যহাতির দল। কুড়িগ্রাম-৪ আসনের স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য মো. রুহুল আমিন বাংলানিউজকে জানান, পাহারে খাদ্য সংকট দেখা দিলেই বন্যহাতির দল বাংলাদেশের লোকালয়ে নেমে আসে। ইতোমধ্যে আমি সংসদ সদস্য থাকাকালীন সীমানা পেরিয়ে ভারতীয় বন্যহাতি রৌমারী এলাকায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়া বন্ধ করার জন্য দু’দেশের সরকারের কাছে আবেদন করেছিলাম। এখনও করছি। কিন্তু কোনো সুরাহা মিলছে না।

রৌমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার হোসেন বাংলানিউজকে জানান, কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা নিরূপণের কাজ চলছে। তবে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে দ্রুত পাকা ধান কেটে ঘরে তুলতে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আল ইমরান বাংলানিউজকে জানান, প্রতিবছর এই মৌসুমে ভারতীয় হাতির দল বাংলাদেশে প্রবেশ করে ফসল ও মানুষের ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে থাকে। ফসল রক্ষায় স্থানীয়ভাবে হাতি তাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি সীমান্তরক্ষী বাহিনী এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগকে অবহিত করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯০৫ ঘণ্টা, জুন ০৩, ২০২০
এফইএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।