মঙ্গলবার (০২ জুন) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত রাজধানীর ইসিবি চত্বর, ভাষানটেক, কালশীর মোড়, মিরপুর ১৪,১৩,১২, ১১, ১০, ৭, ৬, ২ ও ১ নম্বর এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, এক সিট ফাঁকা রেখে অর্ধেক যাত্রী নিয়েই সড়কে চলছে পরিবহন।
এ বিষয়ে শিখর পরিবহনের বাস চালক মো. শাহিন বাংলানিউজকে বলেন, এই গরমের মধ্যে পিপিই পরে বাস চালানো যায় না। হ্যান্ড গ্লাভস পড়ছিলাম কিন্তু হাত প্রচুর পরিমাণে ঘামায়। গরমে খুব খারাপ অবস্থা। তাই আমি হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে আধাঘণ্টা পর পর হাত পরিষ্কার করি। এভাবেই বাস চালাচ্ছি। আপনাদের পরিবহনে কেমন স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাসের প্রতিটি সিটে একজন করে যাত্রী বসানো হচ্ছে অন্য সিট ফাকা রাখা হচ্ছে। যাত্রীরা চাইলেই তাদের সিট স্প্রে করা হচ্ছে। তাদের হাত স্প্রে করা হচ্ছে। পরিবহনের অফিস থেকে বাসে স্প্রে দেওয়া হয়েছে। কী দিয়ে বানিয়ে দেওয়া হয়েছে ঠিক বলতে পারছি না। মনে হয় স্যাভলন বা ডেটল দিয়ে বানিয়ে দেওয়া হয়েছে স্প্রে। এগুলোই যাত্রীদের ও বাসের সিটে দেওয়া হচ্ছে।
ওয়াসিম পরিবহনের যাত্রী আরিফুল ইসলাম বলেন, সকালে আমি পুরনো ঢাকায় গিয়েছিলাম বাসে করে। ঢাকার বেশ কয়েকটি জায়গায় বাসে করে যাতায়াত করেছি। দেখলাম প্রতি বাসে একজন করে বসানো হচ্ছে। আর বাসে ওঠার সময় স্প্রে করা হচ্ছে। কিন্তু কোথাও শরীরের তাপমাত্রা মাপতে দেখেনি। কোন কোন বাসে কন্টাকটার আর চালককে হ্যান্ড গ্লাভস পরতে দেখেছি আবার অনেকে না পরেও বাস চালাতে দেখেছি। বলা যায় স্বাস্থ্যবিধি মোটামুটি মানা হচ্ছে। এভাবে চললে ঠিক আছে।
অভিযোগ করে পরিস্থান পরিবহনের যাত্রী মো. কাল্লু বলেন, গতকাল যে পরিমাণ স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়েছিল আজকে মনে হয় একটু কম মানা হচ্ছে। গতকাল বাসচালকও কন্টাকটারকে হ্যান্ড গ্লাভস পরে বাস চালাতে দেখা গেছে। কিন্তু আজকে তেমন দেখা যাচ্ছে না একটু কম। গতকাল তাদের নিজ থেকে স্প্রে করতে দেখা গেছে। কিন্তু আজকে না চাইলে জীবাণুনাশক দিয়ে স্প্রে করছে না।
যাত্রীদেরকে কী মেশানো পানি দিয়ে হাতে ও সিটে স্প্রে করা হচ্ছে জানতে চাইলে প্রজাপতি বাসের এক কন্ডাক্টর ইমরান হোসেন বলেন, সাদা সাদা পানিতে মেশানো কী জানি দিছে অফিস থেকে। বলতে পারি না। মনে হয় ডেটল মেশানো পানি।
হ্যান্ড গ্লাভস পরেনি কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, গরম লাগে। এই কারণে পরি নাই। কতক্ষণ গ্লাভস পরে থাকা যায়।
ট্রাফিক পুলিশ সার্জেন্ট (পল্লবী জোন পশ্চিম) শাহ আলম বাংলানিউজকে বলেন, আমার দেখা মতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহণ চলছে। বাসের অর্ধেক সিট খালি রাখা হচ্ছে। গতকাল থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত বেশিরভাগ পরিবহনের খালি থাকতে দেখেছি। স্বাস্থ্যবিধি কেউ মানছেন কেউ মানছেন না গণপরিবহনের শ্রমিকরা।
তিনি বলেন, সবচেয়ে বড় বিষয় হলো জনসচেতনতা। বিধিনিষেধ মেনে চলা। আমরা সবাই সচেতন হলে এই রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
বাংলাদেশ সময়: ২২৩৪ ঘণ্টা, ০২ জুন, ২০২০
এমএমআই/জেআইএম