মঙ্গলবার (২ জুন) দুপুরে নিহত মানিক হাওলাদারের বাবা শাহ আলম হাওলাদার বাদী হয়ে দালাল জুলহাস সরদারকে প্রধান করে ৪ জনকে আসামি করে রাজৈর থানায় মানব পাচার আইনে এ মামলা দায়ের করেন।
এ নিয়ে রাজৈর থানায় ৩টি ও সদর থানায় ১টি মামলা দায়ের হলো।
মাদারীপুর সদর থানায় দায়ের হওয়া মামলায় দালাল নজরুল মোল্লার স্ত্রী দিনা বেগম পুলিশের হাতে আটক হয়ে এখন কারাগারে রয়েছেন এবং রাজৈরের তিন মামলার আসামি জুলহাস সরদারের করোনা পজিটিভ হওয়ায় মাদারীপুর সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে পুলিশের হেফাজতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মামলার এজাহার ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি লিবিয়ায় গুলি করে ২৬ বাংলাদেশি হত্যা করে মানবপাচারকারীরা। এদের মধ্যে অধিকাংশই মাদারীপুরের বাসিন্দা। এ ঘটনায় লিবিয়ায় নিহত ও মানব পাচারের শিকার মাদারীপুর সদর উপজেলার দুধখালি ইউনিয়নের দক্ষিণ দুধখালি গ্রামের মো. শামীম হাওলাদারের বাবা হালিম হাওলাদার বাদী হয়ে রোববার বিকেলে মাদারীপুর সদর মডেল থানায় ৩ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে দালাল নজরুল মোল্লার স্ত্রী দিনা বেগমকে। দালাল নজরুল মোল্লা এখন লিবিয়াতে রয়েছেন। এই ঘটনায় রোববার রাতেই মামলার প্রধান আসামি দিনা বেগমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অপরদিকে একই ঘটনায় মাদারীপুরের রাজৈরে লিবিয়ায় নিহত জুয়েলের বাবা রাজ্জাক হাওলাদার বাদী হয়ে দালাল জুলহাস সরদারসহ ৪ জনের নামে মানব পাচার আইনে মামলা করেছে রাজৈর থানায়। এছাড়াও রাজৈর থানার বদরপাশা ইউনিয়নের নিহত রহিম খালাসীর ভাই আবু খায়ের খালাসী বাদী হয়ে রাজৈর থানায় আরো একটি মামলা দায়ের করেছেন। এই মামলা জুলহাস সরদারসহ ৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।
রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শওকত জাহান বলেন, মানব পাচারের ঘটনায় রাজৈর থানায় মঙ্গলবার আরও একটি মামলা দায়ের করেছেন নিহত মানিক হাওলাদারের বাবা শাহ আলম হাওলাদার। এ মামলাও জুলহাস সরদারকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। রাজৈরের তিনটি মামলাতেই জুলহাস সরদার আসামি। এদের মধ্যে জুলহাস করোনা পজিটিভ হওয়ায় পুলিশি হেফাজতে মাদারীপুর সদর হসাপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি রয়েছে। মামলার অন্যসব আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৬ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০২০
এএটি