মঙ্গলবার (২ জুন) সচল রয়েছে ৯০৫টি শিল্প কারখানা। এরমধ্যে নারায়ণগঞ্জে বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত ২৩৫ কারখানার মধ্যে চালু হয়েছে ৪৮টি, বিকেএমইএর ৭৯২ কারখানার মধ্যে ২০৫টি, বেপজার অধীনে থাকা ইপিজেডে ৪৮ কারখানার মধ্যে ৩৬টি ও বিটিএমএর ১৭২টির মধ্যে ৪৩টি চালু ছিল।
এর মধ্যে ১২টির অধিক গার্মেন্টসের শতাধিক শ্রমিক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনে রয়েছেন বলে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে। এর মধ্যে প্রতিদিন শ্রমিকদের নারায়ণগঞ্জ করোনা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নেওয়ার সংখ্যা বাড়ছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। তবে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ বলেছেন, আক্রান্ত শতাধিক শ্রমিক আইসোলেশনে থাকবেন। তবে এতে কোন কারখানা শাটডাউন করা হবে না। আক্রান্তদের চিকিৎসা ও আইসোলেশনে নিশ্চিত করা হবে।
অবশ্য প্রতিটি কারখানায় স্বাস্থ্যবিধি মানার সর্বোচ্চ চেষ্টা ছিল বলে মালিকপক্ষের দাবি। কারখানাগুলোর মালিকরাও পুরোদমে কাজ শুরু করেছেন। তবে কারখানার বাইরে শ্রমিকদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব মানার প্রবণতা একেবারেই কম বলে স্বীকার করে নেয় শিল্প পুলিশ।
নারায়ণগঞ্জ শিল্প পুলিশ-৪ এর পরিদর্শক (ইন্টেলিজেন্স) শেখ বশির আহমেদ জানান, আজ খোলা আছে ৯০৫টি শিল্প কারখানা। আমরা চেষ্টা করছি যেন অর্থনীতিটা সচল রাখা যায়, তাদের সামাজিক দূরত্বটা নিশ্চিত করতেও আমাদের কাজ অব্যাহত আছে। তবে মালিকপক্ষ আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন তারা কারখানায় সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, জুন ২, ২০২০
জেআইএম