করোনা মহামারিতে কৃষক তার জমির পাকা ধান কেটে ঘরে তুলতে পারেনি। পরে কৃষকের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান।
মঙ্গলবার (২ জুন) সকালে জাগলা ধানের মাঠে এ অসহায় কৃষকের দুই বিঘা জমির ধান কেটে দেওয়া হয়েছে।
জাগলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষাক মো. আব্দুর রাজ্জাক বিশ্বাস বলেন, আমাদের এলাকা কৃষি প্রধান এলাকা। সারা বছর এই ধানের ওপর নির্ভর করতে হয় আমাদের। ধানের টাকা দিয়ে আমাদের ছেলেমেয়ে সংসারসহ সব খরচ মেটনো হয়। এ বছর মহামারি করোনা ও আম্পানের কারণে ধান ঘরে তুলতে পারিনি। আমাদের স্কুলের শিক্ষক ও ছাত্ররা কৃষকের পাশের এসে দাঁড়িয়েছি।
কৃষক আব্দুল মতিন বলেন, করোনা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ আম্পানের কারণে ধান কেটে ঘরে তুলতে পারিনি। জাগলা গ্রামের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও ছাত্ররা মাঠে এসে আমার দুই বিঘা জমির ধান কেটে দিয়েছেন। এ কারণে আমি খুব খুশি হয়েছি।
এ সময় যশোর মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. প্রফেসর আমির হোসেন মোল্লা বাংলানিউজকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে আমরা কৃষকের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। সরকারি চাকরিজীবী হিসেবে কৃষকের পাশে এসে দাঁড়ানো আমাদের কর্তব্য।
তিনি আরও বলেন, এই মহামারি করোনা ভাইরাসে শিক্ষকদের নিয়ে কৃষকের পাশে দাঁড়িতে পারে খুশি হয়েছি। করোনা মহামারিতে শিক্ষাকদের একটা অবদান রাখার সুযোগ থাকবে। আমার লক্ষ্য প্রত্যেক কৃষকের ঘরে ছাত্র রয়েছে। আমাদের উচিত কৃষক ও ছাত্রদের পাশে এসে দাঁড়ানো।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪১ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০২০
এএটি