ওই রোগীর নাম শরভানু। তিনি ঘাটাইল উপজেলার পাওনাআটা গ্রামের নুর মোহাম্মদের স্ত্রী।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) শফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, এখানে চিকিৎসা দেওয়ার পর দুই দফা তার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। দু’বার পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ এসেছে। তাই তাকে মঙ্গলবার ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
তিনি জানান, এর আগে আরও ১৩ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী এ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এখন আরও দুইজন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সুস্থ হওয়া শরভানুকে তার ছেলে-মেয়ে এসে নিয়ে যান।
তারা জানান, দরিদ্র শরভানু মানুষের বাড়ি বাড়ি ঘুরে ভিক্ষা করতেন। ভিক্ষা করতে গিয়েই তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। শরভানু করোনা ডেডিকেটেড ইউনিট থেকে বের হওয়ার সময় চিকিৎসক, নার্সসহ হাসপাতালের কর্মীরা তাকে করতালি দিয়ে স্বাগত জানান।
শরভানু জানান, তিনি শুনেছিলেন করোনা রোগে বয়স্ক মানুষ আক্রান্ত হলে বাঁচে খুব কম। তাই ভয় লাগতো। কিন্তু পরে মনে সাহস নিয়ে চিকিৎসকদের নির্দেশনা অনুযায়ী ওষুধ খেয়েছেন এবং গরম পানির ভাপ নেওয়াসহ সব নিয়ম মেনে চলেছেন। তাই সুস্থ হতে পেরেছেন।
এদিকে টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন মো. ওয়াহীদুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় আরও দু’জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এই নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা হলো ১৮৩ জন। জেলায় মোট ৫২ জন করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়েছেন। মারা গেছে চার জন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৪ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০২০
এএটি