জানা গেছে, গ্রামের বাড়িতে এসে পরীক্ষার জন্য নমুনা দেওয়ার পরেই তিনি লাপাত্তা হয়ে যান। পরীক্ষার নমুনার ফলাফল পজিটিভ পাওয়ার পর পুলিশ তার বাড়িতে যোগাযোগ করে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ২২ বছরের ওই পুরুষ একজন পোশাক কারখানার শ্রমিক। এখন তিনি ঢাকায় অবস্থান করছেন।
এর আগে ঢাকাফেরত ওই ব্যক্তি ঈদের আগেই তেঁতুলিয়া উপজেলার শালবাহান ইউনিয়নে নিজ গ্রামের বাড়িতে আসেন। তিনি বাড়িতে আসার পরেই উপজেলা প্রশাসন খবর পেয়ে তার বাড়ি লকডাউন করে দেয়। পরে ২৮ মে (বৃহস্পতিবার) ওই ব্যক্তিসহ তার পরিবারের সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে পাঠায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
৩১ মে (রোববার) রাতে তার একার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তবে করোনা পজিটিভ খবর আসার আগেই তিনি বাড়ি থেকে পালিয়ে গা ঢাকা দেয়। রোববার রাতে স্থানীয় প্রশাসন তাকে খুঁজতে গিয়ে দেখে তিনি বাড়িতে নেই। পরে পরিবারের লোকজনও বলতে না পারায় খোঁজ শুরু হয় পুলিশের। পুলিশের পক্ষ থেকে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঢাকায় আছেন এবং তার অবস্থান সম্পর্কে আইইডিসিআরের হটলাইনে ফোন করে জানিয়েছেন বলে পুলিশ জানান।
এ বিষয়ে পঞ্চগড় সিভিল সার্জন ডা. ফজলুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, আমরা তার সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে চিকিৎসাসহ বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০২০
এএটি