শনিবার (৩০ মে) থেকে টানা বৃষ্টি হওয়ায় শ্রমজীবী এইসব মানুষেরা নিজেদের কর্মযজ্ঞ চালাতে পারছেন না। যে কারণে নতুন করে অভাব তাদের ঘরে ঝেঁকে বসেছে।
এদিকে মঙ্গলবারও (০২ জুন) সকাল থেকে রাঙামাটিতে ভারী বর্ষণ শুরু হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভারী বর্ষণের কারণে জেলা শহরের সড়কে যানবাহন চলাচল কিছুটা কম দেখা গেছে। শ্রমজীবী মানুষেরা কাজ-কর্ম ফেলে যে যার মতো অবস্থান করছেন। দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে তাদের কপালে।
ঠেলাগাড়ি চালক মো. রহিম বাংলানিউজকে বলেন, করোনার কারণে দুই মাস কোনো কাজ করতে পারিনি। সরকার বলেছে ঘরে থাকতে। তাই বউ-বাচ্চা নিয়ে খেয়ে না খেয়ে অনেক কষ্টে ঘরে ছিলাম।
এখন রোববার থেকে সরকার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলে বউ-বাচ্চার মুখে আহার তুলে দিতে ঘর থেকে ঠেলা গাড়িটা নিয়ে বের হলাম। কিন্তু গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি আমাদের সে সুখও কেড়ে নিয়েছে।
ভ্যান চালক আসাদ মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, আমরা কি করবো? খাবো কি? একদিকে করোনার ভয়। অন্যদিকে বৃষ্টি। কোনো কাজ-কর্ম নেই। দৈনিক ভ্যান চালিয়ে যা আয় হয় তা দিয়ে সংসার চালায়। বৃষ্টি সেই আয়ের চাকাও বন্ধ করে দিয়েছে।
সবজি বিক্রেতা রুবেল মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, আমার কোনো দোকান নেই। রাস্তায় বসে সবজি বিক্রি করে সংসার চালাই। গত কয়েকদিনের কারণে ঘরবন্দি। কোনো আয়-রোজগার নেই। আমাদের দুঃখ আর গেলো না।
রাঙামাটি আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মো. হুমায়ন বাংলানিউজকে বলেন, সারা দেশের মত রাঙামাটিতে গত ৪দিন ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই বৃষ্টিপাত রাঙামাটির পুরো জেলায় হয়নি। কোনো কোনো জায়গায় হয়েছে। আগামী ২-৩ দিন অস্থায়ীভাবে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, রাঙামাটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮.৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী দু’দিন আবহাওয়ার তেমন পরিবর্তনের আভাস নেই। তবে সপ্তাহের শেষ বা আগামী সপ্তাহের শুরুতে তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলে যোগ করেন এই আবহাওয়া কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৭ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০২০
আরএ