বাংলানিউজকে তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতির শুরু থেকেই নারায়ণগঞ্জের অনেক মানুষের এ জেলায় যাতায়াত ছিল। এর ফলে মানুষ সংক্রমিত হয়ে জেলার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে লকডাউন না থাকায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়ছে কিনা এ ব্যাপারে ২-৩ দিন পর বোঝা যাবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে জেলায় সরকারি হাসপাতালে করোনা রোগী ভর্তি আছেন ১৬ জন। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন ২২৮ জন ও মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। সোমবার সকাল পর্যন্ত মোট নমুনা পাঠানো হয়েছে ৪ হাজার ৫২২টি, নমুনার ফলাফল এসেছে ৪ হাজার ১৩৩টি এবং নমুনার ফলাফল বাকি আছে ৩৮৯টি। বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন এক হাজার জন।
নতুন ২৪ জনের মধ্যে, সদর উপজেলা- ৫ জন, শ্রীনগর উপজেলায় ৯ জন, সিরাজদিখান উপজেলায় ৫ জন ও লৌহজং উপজেলায় ৫ জন। সর্বমোট আক্রান্তের মধ্যে মুন্সিগঞ্জ সদরে ৩৫৫ জন, টংগিবাড়ীতে ৪৩, সিরাজদিখানে ১০৪, লৌহজংএ ৭৪, শ্রীনগরে ৭৪ ও গজারিয়া উপজেলায় ৮৩ জন রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জেলা প্রশাসনের ১৬ জন স্টাফ ও সাত জন কর্মকর্তার করোনা শনাক্ত হয়েছে। পুলিশ সদস্য আছেন ১৭ জন। স্বাস্থ্য বিভাগের ৯৩ জন।
লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান, করোনা উপসর্গ নিয়ে বেদে সম্প্রদায়ের তিন জন মারা গেছেন। তাদের নমুনা নেওয়া সম্ভব হয়নি। রিপোর্ট আসতে ৩-৪ দিন পর্যন্ত সময় লাগছে। বর্তমানে হাসপাতালের আইসোলেশন ভর্তি আছেন সাত জন। করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহের স্টিক কম। ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৮ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০২০
আরএ