ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

সাধারণ ছুটি আরও দুই সপ্তাহ বাড়ানোর আহ্বান বিশেষজ্ঞদের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৭ ঘণ্টা, জুন ১, ২০২০
সাধারণ ছুটি আরও দুই সপ্তাহ বাড়ানোর আহ্বান বিশেষজ্ঞদের

ঢাকা: দেশে বর্তমান সময়ে সর্বোচ্চ সংখ্যক করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হচ্ছেন। দিন দিন মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। মানুষের মধ্যে করোনার ঝুঁকি সম্পর্কে পর্যাপ্ত সচেতনতা দেখা যাচ্ছে না। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য উপকরণও সহজে পাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

এই সময়ে সাধারণ ছুটি সম্পূর্ণভাবে তুলে নেওয়া হলে করোনার বিস্তার বৃদ্ধি পাওয়ার ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে প্রয়োজন হলে আরও দুই সপ্তাহ সাধারণ ছুটি বাড়ানোর কথা বিবেচনা করতে পারে সরকার।

সামনের দিনগুলোতে সংক্রমণের মাত্রা কমে এলে ধাপে ধাপে স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরে আসা যেতে পারে।

সোমবার (১ জুন)   ‘সাধারণ ছুটি-পরবর্তী স্বাস্থ্যঝুঁকি’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সংলাপে দেশের স্বাস্থ্য ও উন্নয়ন বিশেষজ্ঞরা এসব মতামত দিয়েছেন।   এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশ এই ভার্চুয়াল সংলাপটি আয়োজন করে।

এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)-এর সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য সংলাপে সূচনা বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, চলমান অতিমারীতে নানামুখী অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি হলেও জনগণের স্বাস্থ্যসেবা ও জীবনের নিরাপত্তাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে।

সরকারের বিভিন্ন সময়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সমন্বয়ের অভাব দেখা গিয়েছে। তবে, সময় এখনও শেষ হয়ে যায়নি, নাগরিক সেবাকে গুরুত্ব দিয়ে জনমুখী সিদ্ধান্ত নেওয়ার মাধ্যমে এই সংকট কাটিয়ে উঠতে হবে। এক্ষেত্রে, সাধারণ ছুটি পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত বিবেচনা করা যেতে পারে।

সংসদ সদস্য অ্যারোমা দত্ত সংলাপে অংশগ্রহণ করেন। তিনি বলেন, সরকারের ত্রাণ ও সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের আওতা আরও বৃদ্ধি করা জরুরি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অতিমারীতে দেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী খুবই ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। তাদের কথা মাথায় রেখে দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতা কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।

ওয়াটারএইড-এর দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ড. খায়রুল ইসলামের সঞ্চালনায় এ ভার্চুয়াল সংলাপে সম্মানিত বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এসডিজি প্ল্যাটফর্মের কোর গ্রুপ সদস্য এবং ব্র্যাক জেমস পি গ্র্যান্ট স্কুল অব পাবিলক হেলথ-এর উপদেষ্টা ড. মুশতাক রাজা চৌধুরী, সরকারের কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির সদস্য এবং হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাালের প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিভাগের অধ্যাপক ডা. রওশন আরা বেগম, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে নিযুক্ত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ উপদেষ্টা (সিলেট বিভাগ) ডা. আবু জামিল ফয়সাল, আইসিডিডিআর,বি-এর মিউকোসাল ইমিউনোলজি এবং ভ্যাকসিনোলজি ইউনিটের প্রধান ডা. ফেরদৌসী কাদরি, দুস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র (ডিএসকে)-এর নির্বাহী পরিচালক ড. দিবালোক সিংহ, ব্র্যাকের স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও জনসংখ্যা কর্মসূচির সহযোগী পরিচালক ডা. মোরশেদা চৌধুরী, হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালের চেয়ারম্যান স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. এমএইচ চৌধুরী লেলিন এবং ডেভরেজোন্যান্স লিমিটেড-এর নির্বাহী পরিচালক স্বাস্থ্য অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ নাজমি সাবিনা।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩১ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০২০
এমআইএস/এনটি

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।