ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

জীবাণুনাশক টানেল বাদ, স্বাস্থ্যবিধিতে সরকারের ১২ দফা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৭ ঘণ্টা, জুন ১, ২০২০
জীবাণুনাশক টানেল বাদ, স্বাস্থ্যবিধিতে সরকারের ১২ দফা

ঢাকা: দেশব্যাপী করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাব ও ব্যাপক বিস্তার রোধে অধিকতর সতর্কতামূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে সব মন্ত্রণালয় ও অধীনস্ত দপ্তর/প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা -কর্মচারীদের স্বাস্থ্যবিধি পালন নিশ্চিত করতে ১৩ দফা নির্দেশনা দিয়েছিল স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

তবে জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হওয়ায় ১৩ দফার ১ নম্বর দফা অর্থাৎ জীবাণুমুক্তকরণ টানেল স্থাপনের নির্দেশনা সরিয়ে সংশোধিত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
 
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ থেকে গত ১১ মে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে এসব স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল।


 
১ নম্বর দফায় ছিল, প্রয়োজনীয় সংখ্যক জীবাণুমুক্তকরণ টানেল স্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া যেতে পারে।
 
৩১ মে থেকে সীমিত পরিসরে অফিস খুলে দেওয়া সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের ওই ১৩ দফা নির্দেশনা মানতে বলা হয়েছিল।
 
বিশ্ব স্বাস্্যশন সংস্থা (ড‌ব্লিউএইচও) মানবশরীরে ব্লিচ থেকে শুরু করে যেকোনো ধরনের জীবাণুনাশকের ব্যবহার নিষেধ করে বলেছে, এরূপ জীবাণুনাশকের প্রয়োগ চোখ এবং চামড়ার বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে।
 
সংস্থা‌টি জীবাণুনাশকের ব্যবহার ফ্লোর, টয়লেট, মেটাল দ্রব্যাদি, ব্যবহার্য দ্রব্যাদি, আসবাপত্র ইত্যাদি শক্ত আবর‌ণের জি‌নি‌সের ওপর প্রয়োগ কর‌তে ব‌লে‌ছে। আর মানুষের পরিচ্ছন্নতার জন্য সাবান এবং সীমিতভাবে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবহারের কথা বলেছে। এ নিয়ে একটি আইনি নোটিশও দেওয়া হয়েছিল সংশ্লিষ্টদের।
 
এরই মধ্যে সরকারি অনেক অফিসেই জীবাণুমুক্তকরণ টানেল স্থাপনও করা হয়েছিল। তবে এখন এই দফাটি বাদ দিয়ে বাকি ১২ দফা দিয়ে গত ৩০ মে সংশোধিত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
 
স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত নির্দেশনা:
১. অফিস চালু করার আগে অবশ্যই প্রতিটি কক্ষ/আঙিনা/রাস্তাঘাট জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
 
২. প্রত্যেক মন্ত্রণালয়/বিভাগে প্রবেশপথে থার্মাল স্ক্যানার/থার্মোমিটার দিয়ে কর্মকর্তা/কর্মচারীদের শরীরে তাপমাত্রা পরীক্ষা করে অফিসে প্রবেশ করাতে হবে।
 
৩. অফিসের পরিবহনগুলো অবশ্যই শতভাগ জীবাণুনাশক দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। যানবাহনে বসার সময় পারস্পরিক ন্যূনতম তিন ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং সবাইকে মাস্ক (সার্জিক্যাল মাঙ্ক অথবা তিন স্তর বিশিষ্ট কাপড়ের মাস্ক, যা নাক ও মুখ ভালোভাবে ঢেকে রাখবে) ব্যবহার করতে হবে।
 
৪. সার্জিক্যাল মাস্ক শুধু একবার (ওয়ান টাইম) হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। কাপড়ের মাস্ক সাবান দিয়ে পরিষ্কার করে পুনরায় ব্যবহার করা যাবে।
 
৫. যাত্রার আগে এবং যাত্রাকালীন পথে বারবার হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে।
 
৬. খাওয়ার সময় শারীরিক দূরত্ব (ন্যূনতম তিন ফুট) বজায় রাখতে হবে।
 
৭. প্রতিবার টয়লেট ব্যবহারের পরে সাবান দিয়ে জীবাণুমুক্ত নিশ্চিত করতে হবে।
 
৮. অফিসগুলোতে কাজ করার সময় শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
 
৯. কর্মস্থলে সবাইকে অবশ্যই মাস্ক পরে থাকতে হবে এবং সাবান পানি বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে ঘন ঘন হাত পরিষ্কার করতে হবে।
 
১০. কর্মকর্তা/কর্মচারীদের করোনা প্রতিরোধে বিভিন্ন সাধারণ নির্দেশনাসহ অন্য স্বাস্থ্যবিধি নিয়মিত মনে করিয়ে দিতে হবে এবং তারা স্বাস্থ্যবিধিগুলো মেনে চলছেন কিনা, তা মনিটরিং করতে হবে। ডিজিলেন্স টিমের মাধ্যমে মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
 
১১. দৃশ্যমান একাধিক স্থানে ছবিসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা নির্দেশনা ঝুলিয়ে রাখতে হবে।
 
১২. কোনো কর্মচারীকে অসুস্থ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে আইসোলেশন/কোয়ারেন্টিনে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০২০
এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।