সোমবার (১ জুন) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত রাজধানীর বিশ্বরোড মোড়, ইসিবি চত্বর, কালশীর মোড়, মিরপুর ১২, ১১, ১০, ৭, ৬, ২ ও ১ নম্বর এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, এক সিট ফাঁকা রেখে অর্ধেক যাত্রী নিয়েই সড়কে চলতে পরিবহনগুলো।
এ বিষয়ে রাজধানী সুপার সার্ভিস লিমিটেড বাসের চালক মো. আবুল কাশেম বাংলানিউজকে বলেন, রাস্তায় যাত্রী নেই। মানুষ এখনও গ্রাম থেকে আসে নি। পাঁচ থেকে সাত দিন পরে বুঝা যাবে গণপরিবহনের ভিড়। এখন কিছুই বোঝা যাবে না। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দুই ট্রিপ দিয়েছি। প্রতি সিঙ্গেল ট্রিপে মাত্র পাঁচশত টাকা ভাড়া কাটছে কন্ডাক্টর।
তিনি আরও বলেন, আজকে গাড়ি চালিয়ে যে টাকা পাচ্ছি তাতে আমাদের বেতনও হবে না। মালিকের পকেট থেকে আমাদের বেতন দিতে হবে।
বিকল্প পরিবহনের এক বাসের যাত্রী ইমরান বলেন, আমার কাছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার থাকায় হ্যান্ড গ্লাভস পড়িনি। অনেকদিন পরে গণপরিবহনের করে কোথাও যাচ্ছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পরিবহনগুলো চলছে। এখন দেখার বিষয় এভাবে কতদিন চলা যায়।
তিনি আরও বলেন, গণপরিবহনে একটি সিট ফাঁকা রেখে একজন করে যাত্রী বসছে ভাড়াও বেশি নিচ্ছে। পরিবহন ভাড়াও বেড়ে গেল। বাংলাদেশ একবার কোন কিছুর দাম বাড়লে তা আর কখনেই কমে না। এই যে পরিবহনের ভাড়া বাড়ানো হল পরবর্তীতে কি কমনো হবে?
প্রজাপতি পরিবহনের একটি বাসের হেলপার মো. কামাল বলেন, রাস্তায় একদম যাত্রী নেই। এখন বাসে এক সিট ফাঁকা রেখে যাত্রীদের নিয়ে যাতায়াত করছি। কিন্তু বেশিরভাগ পরিবহনে দেখা যাচ্ছে যাত্রী নেই। ৫ থেকে ৭ যাত্রী নিয়ে গন্তব্যে উদ্দেশ্যে ছেড়ে যেতে হচ্ছে। এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে আমাদের বেতন দিতে মালিকদের হিমশিম খেতে হবে। তাদের পকেট থেকে আমাদের বেতন দিতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০২০
এমএমআই/ওএইচ/