জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে গাড়ি। যাত্রীদের জন্য রাখা হচ্ছে হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ জীবাণুনাশক ও পরিবহনে নেওয়া হচ্ছে বাড়তি নিরাপত্তা।
সকালে ফেনী শহরের বিভিন্ন বাস কাউন্টারগুলোতে গিয়ে এ চিত্র দেখা যায়।
পরিবহন মালিকরা জানান, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে যাত্রীদের বাসে উঠার সময় থার্মোমিটার দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা মাপা হবে ও নির্দিষ্ট সংখ্যক যাত্রী নিয়ে নতুন অস্থায়ী ভাড়ায় চলাচল করবে পরিবহন। সরকারি নির্দেশনা মেনে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানায় পরিবহন মালিক সমিতি।
স্টার লাইন পরিবহনের পরিচালক মো. জামাল উদ্দিন বলেন, প্রথমে গত ৩১ মে পরিবহন চালুর নির্দেশনা ছিল। পরে সেটি ১ জুন করা হয়েছে। আমরা সোমবার থেকে পুরোদমে সীমিত পরিসরে পরিবহন নামাবো। সবধরনের স্বাস্থ্যবিধি মানতে চেষ্টা করবো। সরকারি বিধি মোতাবেক নির্ধারণ করা হয়েছে ভাড়া।
তিনি আরও বলেন, পরিবহনের যাত্রীদের জন্য হান্ড স্যানিটাইজার, জীবাণুনাশক গেট দিয়ে যাত্রীদের পার করানো ও থার্মোমিটার দিয়ে তাপমাত্রা মাপাসহ বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ পরিবহনে করোনাকালীন ফেনী-ঢাকার টিটিপাড়া এসি ৫০০ টাকা, নন এসি ৪৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এদিকে শহরের এসএসকে সড়কের এনা পরিবহনের কাউন্টারে গিয়ে দেখা যায়, তাদের পরিবহনও ছেড়ে যাচ্ছে ফেনী থেকে। কারোনাকালীন বিশেষ স্বাস্থ্যবিধি এখানেও মেনে চলতে দেখা গেছে।
এ পরিবহনের ফেনীর পরিচালক হাসান চৌধুরী বলেন, সরকারের সবধরনের বিধিনিষেধ মেনেই আমরা রাস্তায় গাড়ি নামিয়েছি।
এদিকে যাত্রীরা বলেন, রোববার (৩১ মে) বিকেল থেকেই তারা অগ্রিম টিকিট কিনে রেখেছেন। বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রির সময় পরিবহন মালিকরা স্বাস্থ্যবিধির ব্যাপারে সচেতন ছিল বলেও জানান তারা।
ঢাকাগামী কবির হোসেন নামে এক যাত্রী বলেন, তার অফিস ইতোমধ্যেই খুলে গেছে। তাই ইচ্ছা না থাকলেও ঢাকা ফিরতে হবে। আর সে কারণেই ঝুঁকি নিয়ে রাজধানীর উদ্দেশে যাত্রা করেছেন।
তিনি জানান, অধিক ভাড়া গুণলেও পরিবহনে শারীরিক দূরত্বের বিষয়টি মানা হচ্ছে।
এদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাড়কের ফেনীর মহিপাল গিয়ে দেখা যায়, সেখান থেকে কিছু প্রাইভেট গাড়ি ভাড়ায় ফেনী থেকে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় যাচ্ছেন কিছু মানুষ। এসব পরিবহনের শারীরিক দূরত্বসহ স্বাস্থ্যবিধির কোনো কিছুরই তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। অনেকটা স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়েই তারা যাতায়াত করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২০২ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০২০
এসএইচডি/আরবি/