রোববার (৩১ মে) ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও দুই ছেলে রেখে যান।
এদিকে, কমলেশ চক্রবর্তীর মরদেহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সে অম্বিকাপুর শ্মশান ঘাটে নেওয়ার সময় এলাকার লোকজন রাস্তায় বাঁশ দিয়ে বাধা দেয়। তখন ফরিদপুর জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেলের নেতৃত্বে ওসি কোতয়ালী ও অন্য সঙ্গীয় ফোর্সসহ অম্বিকাপুর এলাকার লোকজনদের বুঝিয়ে রাস্তা থেকে বাঁশ সরিয়ে মরদেহ শ্মশান ঘাটে নিয়ে যায়।
শ্মশান ঘাটে মরদেহ দাহ্ করার লোকজন না পাওয়ায় ফরিদপুর জেলা পুলিশের কুইক রেসপন্স দলের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন ও সঙ্গীয় ফোর্সসহ অ্যাম্বুলেন্স থেকে মুক্তিযোদ্ধার মরদেহ নামিয়ে শ্মশান ঘাটে রাখেন এবং চিতা সাজানোর জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল রাশেদুল ইসলাম নিজেই কাঠ সংগ্রহ করেন এবং নিজের হাতে চিতা সাজান।
তার সন্তানদের শ্মশান ঘাটের রেজিস্ট্রার লিপিবদ্ধ করতে বললে রাজি না হওয়ায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সদর সার্কেল রাশেদুল ইসলাম অভিবাবকের কলাম নম্বরে স্বাক্ষর করেন এবং পুলিশ নিজেই মরদেহ দাহ্’র সব কাজ সম্পন্ন করেন।
বাংলাদেম সময়: ১৭৬০ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২০
এনটি