ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

এবার করোনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করলো বিসিএসআইআর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫০৭ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২০
এবার করোনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করলো বিসিএসআইআর

ঢাকা: এবার করোনার পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচন করেছে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) জিনোমিক  রিসার্চ গবেষণাগার। তারা ৩টি নমুনার সিকোয়েন্সিং করেছে। এরই মাঝে এ সংক্রান্ত তথ্য গ্লোবাল ডাটা ব্যাংক Global Initiative on Sharing All Influenza Data (GISAID)-এ উপস্থাপন করা হয়েছে, যা উক্ত সংস্থা কর্তৃক গৃহীত ও প্রকাশিত হয়েছে। করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক, ওষুধ ও ভ্যাকসিন আবিষ্কারে সহায়তার জন্য এ গবেষণা করা হচ্ছে।

শনিবার (৩০ মে) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।  

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিসিএসআইআর-এর গবেষণায় সংশ্লিষ্ট নমুনায় এ ভাইরাসের অ্যামাইনো এসিড লেভেলে মোট ৯টি ভ্যারিয়্যান্ট পাওয়া যায়।

সিকোয়েন্সিং করার জন্য এসব নমুনা সংগ্রহ করে বাংলাদেশ সরকারের আরেক প্রতিষ্ঠান National Institute of Laboratory Medicine and Referral Center।  

গবেষক দলের নেতা, প্রিন্সিপাল সায়েন্টিফিক অফিসার ও প্রকল্প পরিচালক ড. মো: সেলিম খান বলেন, আমাদের নমুনা অ্যানালাইসিসে ভাইরাসটির সঙ্গে সবচেয়ে বেশি মিল (৯৯.৯৯%) পাওয়া যায় ইউরোপিয়ান উৎস, বিশেষ করে সুইডেনের সঙ্গে। তবে করোনা ভাইরাসের ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য জানা বা তা থেকে কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার জন্য বিসিএসআইআর-এর ৩টিসহ বাংলাদেশে এ পর্যন্ত উন্মোচিত সর্বমোট ২৩টি পূর্ণাঙ্গ সিকোয়েন্সিং মোটেই যথেষ্ট নয়। উৎস, ক্লাস্টার, ট্রান্সমিশন ডাইনামিক্স, মলিক্যুলার ডেটিং, ভ্যাকসিন ডিজাইনসহ অন্যান্য গবেষণার কাজ বেগবান করার জন্য এই মুহূর্তে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় শনাক্ত হওয়া করোনা ভাইরাসের আরও বেশি সিকোয়েন্সিং ও ডাটা সংগ্রহ প্রয়োজন।  

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং সিনিয়ির সচিব বাংলাদেশের সম্ভাব্য সব এলাকা থেকে করোনার নমুনা সংগ্রহ করে বিসিএসআইআর-এর জিনোমিক রিসার্চ গবেষণাগারে সিকোয়েন্সিং করার নির্দেশনা দিয়েছেন। নির্দেশনা অনুযায়ী বিসিএসআইআর-এর জিনোমিক রিসার্চ গবেষণাগারসহ ডিআরআইসিএম কাজ করে যাচ্ছে। এ কাজ সম্পন্ন হলে একটি পূর্ণাঙ্গ ভিত্তির ওপর গবেষণা প্রতিষ্ঠিত হবে। তা করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক, ওষুধ ও ভ্যাকসিন আবিষ্কারে সহায়তা করবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৫০৬ ঘণ্টা, মে  ৩১, ২০২০ 
এসকে/এইচজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।