শনিবার (৩০ মে) বিকেলে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। নুরুজ্জামান মোল্লা ২ নম্বর মাঝগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক।
এনায়েতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা মাসুদ পারভেজ এ তথ্য নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, মাঝগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ এনে তার বাবা বাদী হয়ে আজ দুপুরে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলার পর পরই নিজ বাড়ি থেকে ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মামলার বিবরণে বাদী উল্লেখ করেন, প্রায় সাড়ে ৫ মাস আগে ৫ম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে স্কুল ছুটির পর কথা আছে বলে ক্লাস রুমে থাকতে বলেন শিক্ষক নুরুজ্জামান। পরে ক্লাস রুমের ভেতরেই মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে। পরে তাকে ১শ টাকা দিয়ে স্কুল থেকে চলে যেতে বলেন এবং বিষয়টি কাউকে জানালে হত্যার হুমকি দেন। গত ২৭ মে ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ায় হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসকরা পরীক্ষার পর মেয়েটি ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানায়। এ ঘটনায় শনিবার (৩০ মে) দুপুরে নির্যাতিতা ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে শিক্ষক নুরুজ্জামানকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে চৌহালী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর ফিরোজ জানান, একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উদ্বেগ ও দুখঃজনক। দোষী প্রমাণিত হলে বিভাগীয় ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০২ ঘন্টা, মে ৩০, ২০২০
আরএ