এ অবস্থায় ক্রাইম ও ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট ঢেলে সাজানোর কথা জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের ধারাবাহিক কার্যক্রম চলমান রাখার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন ও সাধারণ মানুষের চলাচলে নজর রাখার কথা জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, রোববার (৩১ মে) থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত সরকারি নির্দেশনা সাপেক্ষে সীমিত পরিসরে সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলছে। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাস, লঞ্চ, ট্রেন চলাচল করবে। সীমিত পরিসরে গণপরিবহন চালুর ক্ষেত্রে করোনা সুরক্ষায় ও আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় ও তৎপর থাকবে বাংলাদেশ পুলিশ।
পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) সোহেল রানা বাংলানিউজকে বলেন, বাস্তবতার বিবেচনায় হয়তো আরও কিছুদিন কিংবা বেশ অনেকদিন আমাদের করোনার সঙ্গে সহাবস্থান করতে হতে পারে। এ সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার জনস্বার্থে গণপরিবহন সীমিত আকারে চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ও নতুন করে ছুটিও বাড়ানো হয়নি। এর ফলে জনগণের চলাচল বেড়ে যাবে গণপরিবহনে।
এ বাস্তবতায় বাংলাদেশ পুলিশকে অবশ্যই নতুন করে আবারও ক্রাইম ও ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টকে আরও বেগবান করার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে যখন মানুষের চলাফেরা বেড়ে যাবে তখন এটি আমাদের জন্য অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং হবে। তবে বাংলাদেশ পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে যাতে গণপরিবহন ও সাধারণ মানুষ সরকারের যে স্বাস্থ্যবিধি রয়েছে তা যথাযথভাবে মেনে চলাচল করে। এ ক্ষেত্রে পুলিশের চেষ্টায় কোনো ত্রুটি থাকবে না।
ট্রাফিক ও ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট নতুন করে ঢেলে সাজানো হবে। করোনা নিয়ন্ত্রণের যে কার্যক্রম শুরু হয়েছিলো সেটা চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।
এক্ষেত্রে জনসাধারণের ও সংশ্লিষ্ট সকলের সার্বিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন এ আই জি সোহেল রানা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২০
পিএম/আরআইএস