ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

চাঁদপুরে করোনায় আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে ৫ জনের মৃত্যু

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৩ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২০
চাঁদপুরে করোনায় আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে ৫ জনের মৃত্যু

চাঁদপুর: চাঁদপুরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজন ও উপসর্গ নিয়ে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে তিন জন পুরুষ ও দুই জন নারী।  

বৃহস্পতিবার (২৮ মে) ভোর থেকে শুক্রবার (২৯ মে) দিনগত রাত পৌঁনে ৩টার মধ্যে এই ৫ জনের মৃত্যু হয়।

আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মৃত ব্যক্তিদের স্বজন এবং সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে করোনা উপসর্গ নিয়ে চাঁদপুর শহরের ট্রাকরোডে রোজ গার্ডেন নামে একটি ভবনে ছকিনা বেগম (৮০) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়।

 

শুক্রবার (২৯ মে) দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে স্বাস্থ্য বিধি মেনে তার দাফন সম্পন্ন হয়।

শুক্রবার সকাল ১১টায় শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের আমজাদ খান বাড়ীতে করোনা উপসর্গ নিয়ে মহরম খানের স্ত্রী সাহিদা বেগম (৪৫) মৃত্যুবরণ করেন। বিকেলে তার করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহের পর পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

জেলার মতলব উত্তর উপজেলার মোসলেম বেপারী (৬৫) করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকা থেকে ফরাজিকান্দি গ্রামে নিজ বাড়িতে আসেন। হোম আইসোলেশনে থাকা অবস্থায় তার অবস্থার অবনতি হলে অ্যাম্বুলেন্সে করে মতলব থেকে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নেওয়ার পথে শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় শহরের ট্রাক রোড কাজী অফিস সংলগ্ন ৪ তলা ভবনে মো. আবুল খায়ের মিজি (৫২) করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যান। তিনি সদর উপজেলার মৈশাদী ইউনিয়নের মৈশাদী গ্রামের মো. শহীদ উল্লাহ মিজির ছেলে। তিনি গত ৪দিন জ্বর, সর্দি ও কাশি নিয়ে ভুগছিলেন।  

শনিবার (৩০ মে) সকাল ৯টায় উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ করোনার নমুনা সংগ্রহের পর দুপুর ১২টায় নিজ বাড়িতে নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন করা হয়।

সর্বশেষ শুক্রবার দিনগত রাত পৌনে ৩টার দিকে করোনা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আবুল হাসনাত খান (৫৫)।  

রাত ১২টার দিকে নিজ বাসায় তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। শনিবার (৩০ মে) সকাল ১০টার দিকে তার করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন স্বাস্থ্য বিভাগ। পরে নামাজে জানাজা ও দাফনের জন্য দুপুর ১২টার দিকে তার নিজ বাড়ি উপজেলার দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়।

চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. সাখাওয়াত উল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, কোনো ধরনের মৃত্যুই আমাদের কাম্য নয়। কোনো ব্যক্তির করোনা উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসা না নিয়ে যদি তিনি বাড়িতেই থাকেন, সেটা খুবই দুঃখজনক। কারণ আমরা তাদের চিকিৎসা দেওয়ার সুযোগও পাচ্ছি না। তারা শেষ মুহূর্তে হাসপাতালে এসে মৃত্যুবরণ করছেন। এই ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া খুবই জরুরি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২০
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।