ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

খুলনা বিভাগে করোনা আক্রান্ত ৫০০, মৃত ৮

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২১ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২০
খুলনা বিভাগে করোনা আক্রান্ত ৫০০, মৃত ৮

খুলনা: খুলনা বিভাগে দিন দিন বাড়ছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। বিভাগের ১০ জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫০০ জন। এরমধ্যে মারা গেছেন ৮ জন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৯২ জন ও সুস্থ হয়েছেন ১৯৭ জন।

শুক্রবার (২৯ মে) সন্ধ্যায় খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তর থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত খুলনা বিভাগের করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৪৭৬ জন।

সন্ধ্যায় খুমেকের পিসিআর ল্যাবে ৬ জন ও কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে ১৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে বিভাগে মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৫০০ জন।

শুক্রবার খুলনা মেডিক্যাল কলেজের আরটি পিসিআর ল্যাবে শিল্পাঞ্চল পুলিশের একজন সদস্যসহ ছয়জনের করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে খুলনার একজন, বাগেরহাটের তিনজন ও ঝিনাইদহের দুইজন। এনিয়ে খুলনা জেলায় মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৭৬ জন।

রাতে খুমেকের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ জানান, শুক্রবার খুলনা মেডিক্যাল কলেজের পিসিআর মেশিনে মোট ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। যার মধ্যে খুলনা জেলার নমুনা ছিলো ২৪টি। এদের মধ্যে মোট ৬ জনের রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে।

তিনি আরও জানান, খুলনায় শিল্পাঞ্চল পুলিশের একজন সদস্য (২০) আক্রান্ত হয়েছেন। ইতোমধ্যে তাকে খুলনা করোনা হাসপাতালে (ডায়াবেটিক হাসপাতাল) ভর্তি করা হয়েছে। ঝিনাইদহের দুইজনের মধ্যে একজন সদরের, আরেকজন শৈলকূপা এলাকার। এছাড়া বাগেরহাট জেলার তিনজনের নতুন করে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

খুলনা বিভাগের ১০ জেলার মানুষের করোনার পরীক্ষার জন্য তিনটি পিসিআর ল্যাব দায়িত্বে রয়েছে। এগুলো হলো, খুলনা মেডিক্যাল কলেজের পিসিআর ল্যাব, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিসিআর ল্যাব ও কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের পিসিআর ল্যাব। বিভাগে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গত ১৯ মার্চ চুয়াডাঙ্গা জেলায়।

খুলনা বিভাগের ১০ জেলার মধ্যে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের শীর্ষে রয়েছে যশোরে জেলা ও সর্বনিম্নে রয়েছে মহেরপুর জেলা। ইতোপূর্বে বিভাগের খুলনায় তিনজন, বাগেরহাটে দুইজন, নড়াইলে একজন, বাগেরহাটে একজন ও চুয়াডাঙ্গায় একজন করোনায় মারা গেছেন।

এদিকে গত ১০ মার্চ থেকে খুলনা বিভাগের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছিল ৩৬ হাজার ৫৮ জনকে। এর মধ্যে কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ ১৪ দিন পার হওয়ার পর ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে ২৯ হাজার ৭৮৮ জনকে। বাকিরা এখোনো হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন।

খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. রাশেদা সুলতানা বলেন, খুলনা বিভাগের প্রত্যেক জেলায় করোনায় মোকাবিলায় কমিটি গঠন করা হয়েছে। আক্রান্তদের উপসর্গের মাত্রা বেশি না থাকলে তাদের বাড়িতে চিকিৎসা করা হচ্ছে। আর উপসর্গ বেশি হলে হাসপাতালে এনে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। যারা সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরছেন তাদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২০
এমআরএম/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।