শুক্রবার (২৯ মে) রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া এবং নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান এক বিবৃতিতে একথা বলেন।
গণমাধ্যমে প্রেরতি ওই বিবৃতিতে তারা বলেন, করোনা পরিস্থিতির অবনতি সত্ত্বেও সরকার জনজীবন ও অর্থনীতি সচল রাখার প্রয়োজনে অফিস-আদালত চালু এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে গণপরিবহন চালানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
তারা বলেন, অপরপক্ষে দীর্ঘ ছুটি শেষে বহু মানুষ জীবনের তাগিদে একসাথে রাস্তায় নামবেন। এ অবস্থায় সড়কে গণপরিবহনের স্বল্পতা থাকলে মানুষ হুড়োহুড়ি-গাদাগাদি করে গাড়িতে উঠবেন, উঠার চেষ্টা করবেন। এতে মানুষের দুর্ভোগ ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছুবে, স্বাস্থ্যবিধি বলে কিছু থাকবে না। এছাড়া পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বল্পযাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চালানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাত্রীভাড়া বৃদ্ধি করবেন। কিন্তু বাস্তবে কোনো পরিবহনই স্বল্পযাত্রী বহন করবে না, স্বাস্থ্যবিধিও মানবে না। অথচ অতিরিক্ত ভাড়া ঠিকই আদায় করবে।
রেল যোগাযোগ নিয়ে নেতারা বলেন, রেল কর্তৃপক্ষ অর্ধেক সিটে যাত্রী বহনের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে দুর্নীতি ও মানুষের দুর্গতি উভয়ই বাড়বে। আসনের চেয়ে যাত্রী বেশি হওয়ার সুযোগে একটি শ্রেণি অবৈধ পন্থায় অতিরিক্ত যাত্রী তুলবেন। মানুষও এই পথ গ্রহণ করবেন। সেজন্য আমরা মনে করি, সীমিত নয় বরং রেলের স্বাভাবিক যাত্রীসেবা বহাল রেখে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আরও বাড়তি ট্রেন চালুর ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। এতে যাত্রীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার সুযোগ পাবেন এবং সড়ক পথে চাপ কমবে।
নৌ-পরিবহনের ক্ষেত্র উল্লেখ করে তারা বলেন, নৌ-পরিবহনে প্রচলিত রোটেশন ব্যবস্থা তুলে দিয়ে আবহাওয়া বিবেচনায় রেখে দিনে-রাতে পর্যাপ্ত সংখ্যক নৌ-যান চালানোর সুযোগ তৈরি করতে হবে। এতে যাত্রী হয়রানি বন্ধ হবে এবং তারা ভীড় এড়িয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাতায়াত করতে পারবেন।
তারা বলেন, মূলত দেশে করোনা সংক্রমণের যে চিত্র, তাতে যাত্রীবাহী গণপরিবহন হয় লকডাউন করতে হবে, নয় তো পুরোপুরি চালু করতে হবে। আংশিক বা সীমিত আকারে চালু করে কোনো লাভ হবে না। কারণ যাত্রীর চাপ এবং চাঁদাবাজ সিন্ডিকেটের দৌরাত্বে সরকারের সীমিত আকারে গণপরিবহন চালুর উদ্যোগ ব্যর্থ হবে। মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে। এই বাস্তবতায় রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নেতারা সব ধরনের গণপরিবহন পুরোপুরি চালু করে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১২ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২০
এইচএমএস/এইচএডি