শুক্রবার (২৯ মে) বিকেলে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এ কে এম রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, গত কয়েক বছরে যমুনায় এত দ্রুতগতিতে পানি বাড়তে দেখা যায়নি। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৩ দশমিক ৭৭ মিটার পানি বেড়েছে।
শুক্রবার সকালে সিরাজগঞ্জ শহররক্ষা বাঁধের হার্ডপয়েন্ট এলাকায় যমুনার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৭৯ মিটার। এক সপ্তাহ আগে শুক্রবার (২২ মে) যেখানে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছিল ৮ দশমিক ০২ মিটার।
তিনি আরও বলেন, এখনো বিপদসীমার এক দশমিক ৫৬ মিটার নিচ দিয়ে যমুনার পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তবে আরও দু-তিন দিন পানি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এরপর থেকে আবার কমতে পারে।
এদিকে দ্রুতগতিতে যমুনার পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চলের শত শত একর ফসলি জমি। যমুনা অধ্যুষিত জেলার ৫টি উপজেলার প্রায় ২০টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। শাহজাদপুর উপজেলার সোনাতনী, জালালপুর কৈজুরী, সদর উপজেলার কাওয়াকোলা, মেছড়া, কাজিপুরের খাসরাজবাড়ী, মাইজবাড়ী, তেকানি, নাটুয়ারপাড়া, চর গিরিশ ও নিশ্চিন্তপুর এবং চৌহালীর স্থল, ঘোড়জান, সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নের নিম্নভুমি প্লাবিত হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ডিডি) মো. হাবিবুল হক জানান, চরাঞ্চলের ৯০ একর জমির পাট, ৫০ একর জমির তিল সম্পূর্ণরূপে তলিয়ে গেছে। এছাড়াও টানা বৃষ্টির ফলে ৫৮০ একর জমির সবজি সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। অনেক জমির পাকা ধান তলিয়ে গেছে। পানির মধ্যে থেকেই কৃষকেরা ধান কেটে ঘরে তুলছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩২ ঘন্টা, ২৯ মে, ২০২০
আরএ