শুক্রবার (২৯ মে) দুপুর ১টার দিকে উপুরগাঁও এলাকার কীর্তিনাশা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
সোহেল সদর উপজেলার চিতলীয়া ইউনিয়নের মনকোলা গ্রামের মোতালেব মাদবরের ছেলে।
সোহেলের মামা মনসুর হাওলাদার জানান, সোহেল তার পরিবারের সঙ্গে ঢাকায় বসবাস করতেন এবং ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাতেন। তার বাবা ঢাকায় কাঁচামালের ব্যবসা করেন।
সোহেলরা মনকোলা গ্রামের পৈত্রিক সব জায়গা জমি বিক্রি করে দিয়ে সদর উপজেলার তুলাসার ইউনিয়নের উপুরগাঁও গ্রামে নানা ইয়াকুব হাওলাদারের বাড়ির পাশে কিছু জমি ক্রয় করেন। কিন্তু সেখানে তারা এখনও বসতঘর তুলতে পারেননি।
এ কারণে তারা মাঝে মধ্যে ঢাকা থেকে গ্রামে এলে নানা ইয়াকুব হাওলাদারের বাড়িতেই অবস্থান করেন।
ঈদের এক সপ্তাহ আগে সোহেল তার মা-বাবা ও ভাই-বোনদের সঙ্গে ঢাকা থেকে নানা বাড়িতে বেড়াতে আসে। দুপুরে এলাকার সমবয়সী কয়েকজন যুবকের সঙ্গে নানা বাড়ির পাশে কীর্তিনাশা নদীতে গোসল করতে যান।
নদীর ঘাটে বালুর বোট ও বালু তোলার বলগেট ছিলো। গোসল করতে করতে নদীর স্রোতে এক সময় সোহেল বোটের নিচে চলে যায়। এরপর থেকে সোহেলের আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্র কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ও দমকলবাহিনীর সদস্যরা নিখোঁজ যুবককে উদ্ধারে নদীতে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এখনও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২০
আরএ