শুক্রবার (২৯ মে) সকালে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জেলা খাদ্য বিভাগের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের তদন্তের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জানা যায়, সকালে গাবতলী থানা পুলিশের কাছে খবর আসে উপজেলার সাবেক পাড়া সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে এক ব্যবসায়ীর কাছে চাল বিক্রি করা হয়েছে ও চালগুলো ট্রাকে তোলা হচ্ছে। এরপর সকাল সোয়া ১০টায় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এ সময় গুদাম থেকে বের করা ৫০ কেজি ওজনের ৩০০ বস্তা বা ১৫ মেট্রিক টন চাল একটি ট্রাকে তোলা হচ্ছিলো। এভাবে সরকারি চাল গোপনে বিক্রির খবরে স্থানীয় জনগণ ক্ষুব্ধ হয়ে গুদাম কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামের ওপর চড়াও হয়। এমন পরিস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা শফিকুলকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।
বগুড়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এফ এম সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, পুলিশের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পরপরই তারা তদন্ত শুরু করেছেন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বগুড়ার গাবতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা শফিকুল ধুনটের চাল ব্যবসায়ী শাহীনের কাছে চালগুলো ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছেন। আর আটক শাহীন সেই চালগুলো সরকারি অন্য কোনো গুদামে সরকারের বেধে দেওয়া ৩৬ টাকা কেজি দরে সরবরাহ করবেন।
তিনি বলেন, খাদ্য গুদাম কর্মকর্তাকে গ্রেফতার বা আটকের বিষয়টি কর্তৃপক্ষের অনুমতির উপর নির্ভর করছে। তিনি একজন সরকারি কর্মকর্তা। তাই আমরা তাকে আপাতত হেফাজতে রেখেছি। পরবর্তীতে যে নির্দেশনা পাওয়া যাবে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২০
কেইউএ/আরআইএস