বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের মধ্যে পিরোজপুর, বরগুনা ও ঝালকাঠি ব্যতীত চার জেলায় ২৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে বিদেশি নাগরিকসহ ভিন্ন জেলা (সংক্রমিত) থেকে আসা ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিনে রাখার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
যারমধ্যে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয় ১৩ হাজার ৫৩ জনকে। আর এরমধ্যে ১০ হাজার ৮৫৬ জনকে হোম কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া বর্তমানে বিভাগের বিভিন্ন জেলায় হাসপাতালে (প্রতিষ্ঠানিক) কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন ৮৫৬ জন। এ পর্যন্ত ৭৪৯ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
এর বাইরে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ বিভাগের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসাপ্রাপ্ত রোগীর সংখ্যা ৫২৬ জন। এরইমধ্যে ২৮৫ জনকে ছাড়পত্রও দেওয়া হয়েছে।
এদিকে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানান, বিভাগের মধ্যে এ পর্যন্ত বরিশাল জেলায় ২০৮ জন, পটুয়াখালীতে ৪৭ জন, ভোলায় ৪২ জন, পিরোজপুরে ৬৩ জন, বরগুনায় ৫৪ জন ও ঝালকাঠিতে ৪৪ জনের করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। যারমধ্যে গোটা বিভাগে ১৩৪ জন করোনা পজেটিভ রোগী সুস্থ হয়েছেন। যাদের এরইমধ্যে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া সর্বশেষ ভোলার লালমোহন উপজেলার চরভুটা এলাকায় এক ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। যা নিয়ে বিভাগে এ পর্যন্ত মোট ১০ জন ব্যক্তির করোনায় মৃত্যু হয়েছে বলে জানান তিনি।
মোট মৃত্যুর মধ্যে পটুয়াখালী জেলার সদর উপজেলা, মির্জাগঞ্জ ও দুমকিতে একজন করে তিনজন, বরগুনা জেলার আমতলী ও বেতাগীতে একজন করে দু’জন, ঝালকাঠির নলছিটি ও কাঠালিয়াতে এক জন করে দু’জন, বরিশালের মুলাদীতে একজন, পিরোজপুরের নাজিরপুরে একজন ও ভোলার লালমোহনে একজন রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৪ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২০
এমএস/আরবি/