ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

কমলাপুর রেলওয়ে হাসপাতালকে সুরক্ষাসামগ্রী দিল যুক্তরাষ্ট্র

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫১ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২০
কমলাপুর রেলওয়ে হাসপাতালকে সুরক্ষাসামগ্রী দিল যুক্তরাষ্ট্র

ঢাকা: ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস কোভিড-১৯ মোকাবিলায় কমলাপুর রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতালকে সরঞ্জাম দিয়েছে।

বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার ও যুক্তরাষ্ট্র মিলিটারির ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ডের প্রতিনিধিরা কোভিড-১৯ মোকাবিলা কর্মকাণ্ডে যুক্তরাষ্ট্রের ধারাবাহিক সহায়তার অংশ হিসেবে কমলাপুর রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতালের বিভাগীয় মেডিক্যাল অফিসার ইবনে সফি আব্দুল আহাদের কাছে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) হস্তান্তর করেছেন।  

বৃহস্পতিবার (২৮ মে) ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

এতে উল্লেখ করা হয়, কমলাপুর রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতালে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে ধারাবাহিকভাবে পিপিই বিতরণ পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপ এটি। গত ১১ মে বিতরণের প্রথম ধাপে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কাছে পিপিই ও চিকিৎসা সরঞ্জাম হস্তান্তর করা হয়। এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র সরকার কোভিড-১৯-এর বিস্তার মোকাবিলার প্রস্তুতি ও কার্যক্রম গ্রহণে বাংলাদেশ সরকারের চলমান উদ্যোগগুলোর আওতায় দ্রুত রোগনির্ণয় উন্নত করা, জ্ঞান বৃদ্ধি, রোগ সম্পর্কিত গুজব ও ভুল ধারণা দূরীকরণ এবং বীরত্বপূর্ণ সম্মুখসারীর কর্মীদের সহায়তা দিতে ২৫.৭ মিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তা দিয়েছে।

ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস থেকে বৃহস্পতিবার পাওয়া সরঞ্জামাদির মধ্যে রয়েছে ৭০০ পিস কেএন৯৫ সার্জিক্যাল মাস্ক, ৫০০ মিলি বোতল হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ৫০০ জোড়া সার্জিক্যাল গ্লাভস, ৩০০ বিপজ্জনক পদার্থ ব্যবস্থাপনায় ব্যবহৃত হ্যাজার্ডাস ম্যাটেরিয়াল (হ্যজম্যট) স্যুট, ৫০টি মুখমণ্ডল সুরক্ষার শিল্ড, ৫০ পাউন্ড ব্লিচ পাউডার, ১০টি ইনফ্রারেড থার্মোমিটার, ৬টি জীবাণুনাশক স্প্রেয়ার, তিনটি রোগী দেখার মনিটর/পালস অক্সিমিটার মেশিন- যার সবই বাংলাদেশি বিভিন্ন কোম্পানির কাছ থেকে স্থানীয়ভাবে ক্রয় করা হয়েছে।

কমলাপুর রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতাল বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ঘোষিত কোভিড-১৯ চিকিৎসা সেবা দেওয়াকারী হাসপাতাল যারা বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কোভিড-১৯ মোকাবিলা কার্যক্রম বাস্তবায়নে সহায়তা দিচ্ছে। এ পিপিইগুলো পাবার ফলে হাসপাতালের কর্মীরা কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধপূর্বক রোগীদের সেবা দেওয়াকালে নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারবে।

ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস বিভিন্ন কার্যক্রমের আওতায় চিকিৎসা বিষয়ক ঘাটতি চিহ্নিত করে সেগুলো পূরণে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে নিবিড় সহযোগিতার ভিত্তিতে অব্যাহতভাবে কাজ করছে। এরই অংশ হলো ঘোষিত কোভিড-১৯ চিকিৎসসেবা কেন্দ্র এবং প্রাথমিক সেবাদানকারীদের জন্য পিপিই ও অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে বিতরণ পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপে আজকে বিতরণকৃত পিপিইগুলো স্থানীয়ভাবে প্রস্তুত। অনেক উদ্যোগের অন্যতম এ বিতরণ বাংলাদেশি জনগণের প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অব্যাহত অঙ্গীকার এবং দু’দেশের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও শক্তিশালী অংশীদারিত্বের প্রকাশ।

কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরকার সারা বিশ্বে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা খাতে এবং মানবিক, অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন সহায়তা হিসেবে বিশেষত সরকার, আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি সংস্থাগুলোকে এ মহামারি মোকাবিলায় ৯০০ মিলিয়ন ডলারের অধিক অনুদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বিগত ২০ বছরের বেশি সময় ধরে বা্ংলাদেশকে দেওয়া ১ বিলিয়ন ডলারের অধিক স্বাস্থ্য সহায়তার ধারাবাহিকতায় অতিরিক্ত ২৫.৭ মিলিয়ন ডলার সহায়তা সারা দেশে রোগের চিকিৎসা ও প্রতিরোধ কার্যক্রমে ব্যয় হবে। এ অর্থায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের সব মানুষের জন্য মানসম্পন্ন জীবনরক্ষাকারী স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘস্থায়ী অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২০
টিআর/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।