বৃহস্পতিবার (২৮ মে) আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এলো, ৩০ মের পর আর বাড়ছে না সাধারণ ছুটি। খুলে যাবে সব অফিস-আদালত।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে রাজধানীর বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) ভবনের সামনে গিয়ে দেখা যায়, সুরক্ষাসামগ্রী কিনতে ভিড় করেছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। তবে বিএমএ ভবনের সার্জিক্যাল মার্কেট বন্ধ থাকায় এ ভিড় ছিল সামনের ফুটপাতের দোকানগুলোতে।
ফুটপাতের এসব দোকানে পাওয়া যাচ্ছে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই), সার্জিক্যাল মাস্ক, কাপড়ের মাস্ক, কেএন৯৫ মাস্ক, হেড কভার, শ্যু কভার, ফেস শিল্ড, আই গ্লাস বা প্রোটেকটিভ গগলস, সার্জিক্যাল গ্লাভস, থার্মোমিটার থেকে শুরু করে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধের জন্য প্রচলিত সব সুরক্ষাসামগ্রী। এর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের মাস্কই বেশি বিক্রি হচ্ছে।
সেগুনবাগিচার বাসিন্দা নাজমুন নেসা একটি সরকারি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত। তিনি বলেন, ‘সাধারণ ছুটির শুরু থেকেই আমি ছুটিতে ছিলাম কারণ আমার ডিপার্টমেন্টে কোনো কাজ ছিল না। যেহেতু ৩১ তারিখ অফিস খুলে যাচ্ছে, সেজন্য কিছু সুরক্ষাসামগ্রী কিনতে এসেছি। ’
একই কথা বললেন ফকিরাপুলের ব্যবসায়ী আব্দুর রাকিব। তিনি বলেন, ‘একটি বিপণিবিতানে আমার দোকান রয়েছে। লকডাউনের পর থেকে আর খুলিনি। রোজার মধ্যেও বন্ধ ছিল। এখন খুলবো। এজন্য দোকানের কর্মচারীদের জন্য সুরক্ষাসামগ্রী কিনতে এসেছি। ’
সাধারণ ছুটি না বাড়ায় বেচাকেনা ভালো হচ্ছে বলে জানালেন বিএমএ ভবনের সামনের বিক্রেতা সারোয়ার। তিনি বলেন, ‘বুধবার ছুটি না বাড়ার খবর আসার পরেই বিক্রি বেড়েছে। বৃহস্পতিবার বিক্রি ভালো হয়েছে। ’
আরেক দোকানি আব্দুর রহমান বলেন, ‘বিক্রি ভালো না। প্রথম দিকে ভালো ছিলো। এখন আগের চেয়ে বিক্রি বেড়েছে। তবে এ বিক্রি বাড়ুক আমি চাই না। দোয়া করি, আল্লাহ যেন এ ভাইরাস নিয়ে যান। ’
তিনি জানান, সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের মাস্ক। এর বাইরে পিপিইর চাহিদা বেশি।
তবে এসব সুরক্ষাসামগ্রী ব্যবহারে জনগণকে সাবধান হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের লজিস্টিক সাপোর্ট বিষয়ক কমিটির সদস্য ডা. শামীম রিজওয়ান। তিনি বলেন, ‘সুরক্ষাসামগ্রী তৈরির একটি নির্দিষ্ট মানদণ্ড রয়েছে, যা না মেনে তৈরি করা হলে সেগুলোতে ঝুঁকি এড়ানো যাবে না। গুণগত মান নিশ্চিত না করে কোনোভাবেই সেগুলো বাজারজাত করাও ঠিক নয়। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৭ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২০
ডিএন/এফএম