ইসমাইল মোল্লার মতোই অবস্থা রাজধানীর ৬০ হাজার হোটেল কর্মচারীর। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কায় গত ২৬ মার্চ থেকে চলমান সাধারণ ছুটিতে বন্ধ ছিল অধিকাংশ হোটেল-রেস্তোরাঁ।
সেগুনবাগিচার একটি রেস্তোরাঁর কর্মচারী হাসিব মিয়া বলেন, মালিকের সঙ্গে গত দুই মাস কোনো কথা হয়নি। প্রথম দুই-একদিন ফোন ধরলেও, এরপর ফোন ধরে না। সব খুলে দেওয়ার পর চাকরি থাকবে কি-না সেটাও নিশ্চিত না। চাকরি না থাকলে বউ-বাচ্চা নিয়ে রাস্তায় নামতে হবে।
হোটেল-রেস্তোরাঁ মালিকদের দাবি, রাজধানীর ৯৫ শতাংশ হোটেল বন্ধ। ইফতারের সময় কিছু হোটেল খুললেও, করোনার ভয়ে সেখানে ক্রেতা ছিল সাধারণ সময়ের দশ শতাংশ। ফলে তারাও বিপাকে পড়েছেন।
এ বিষয়ে গেন্ডারিয়ার কাঠেরপুলের জনপ্রিয় রেস্তোরাঁ 'কিছুক্ষণ'র অন্যতম মালিক নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, 'এ কথা অস্বীকার করবো না, গেন্ডারিয়া এলাকার মধ্যে আমাদের বেচাবিক্রি ভালো। কিন্তু দুই মাস সব বন্ধ। আর হোটেল বন্ধ থাকলেই সব বন্ধ। কারণ এখানে জমানো টাকা সেভাবে থাকে না। তারপরও আমরা কোনো কর্মচারীর চাকরি খাইনি। '
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর হোটেল শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. আল আমিন বাংলানিউজকে বলেন, 'দুই মাস ধরে সব হোটেল বন্ধ। সুতরাং আমাদের আয়ও বন্ধ। আমাদের ৬০ হাজার কর্মচারী এখন মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাদের জন্য কোনো প্রণোদনা নেই। যদিও একটি প্রণোদনার কথা শুনেছিলাম। কিন্তু আমরা হাতে কিছুই পাইনি। '
তিনি বলেন, 'এ দুই মাসে মালিকেরা কোনো খবরও নেননি। হিসেবে রাজধানীতে তিন হাজার হোটেল আছে। মালিক সমিতি সরকারের কাছে প্রণোদনার জন্য একটি তালিকা পাঠানোর কাজ করেছিল। কিন্তু তারা আমাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা না করে কিভাবে এ তালিকা তৈরি করল তা আমাদের জানা নেই। '
এ বিষয়ে জানতে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি খন্দকার রুহুল আমিনকে বেশ কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৬ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২০
ডিএন/এমএইচএম