তবে লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ থাকায় নৌরুটের ফেরিতে ছিল উপচেপড়া ভিড়। পরিবহনের পাশাপাশি হাজার হাজার যাত্রীরা পার হচ্ছেন ফেরিতে।
কাঁঠালবাড়ী ঘাট সূত্রে জানা গেছে, ঈদ শেষে গত মঙ্গলবার থেকেই ঢাকামুখী যাত্রীদের ভিড় বাড়তে থাকে কাঁঠালবাড়ী ঘাটে। বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই শত শত যাত্রীরা এ ঘাট দিয়ে পদ্মা পার হচ্ছেন। নৌরুটে ১৩/১৪টি ফেরি চলাচল করছে।
এদিকে, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথা বলা হলেও নৌরুটের বেশিরভাগ যাত্রীরা তা তা মানছেন না। নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব মেনে চলার সুযোগ নৌরুটে না থাকলেও মাস্ক ব্যবহার করতেও তেমন একটা দেখা যাচ্ছে না যাত্রীদের।
ঘাট সূত্রে আরও জানা গেছে, বরিশাল, খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে গণপরিবহন বন্ধ থাকার কারণে বিভিন্ন ছোট যানবাহনে করে যাত্রী কাঁঠালবাড়ী ঘাটে আসছে। ঘাট পর্যন্ত আসতে যাত্রীদের গুণতে হচ্ছে ৫/৭ গুণ বেশি ভাড়া। এ নৌরুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ থাকায় ফেরিগুলো যানবাহন পারাপারের পাশাপাশি যাত্রী পারাপারে হিমশিম খাচ্ছে। ঘাট এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত আছেন।
কাঁঠালবাড়ী ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক আব্দুল আলিম বাংলানিউজকে বলেন, সকাল থেকেই ঢাকাগামী যাত্রীদের ভিড় রয়েছে ঘাট এলাকায়। ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফিরছেন দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। যাত্রীদের ঢল আরও কিছুদিন থাকবে। লঞ্চ-স্পিডবোট বন্ধ থাকায় ফেরিতে চাপ বেশি। পরিবহনের পাশাপাশি যাত্রীদের প্রচণ্ড চাপ রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২০
এসআরএস