ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

লাম্পি স্কিন রোগে ২০ গরুর মৃত্যু, দিশেহারা খামারিরা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৯ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২০
লাম্পি স্কিন রোগে ২০ গরুর মৃত্যু, দিশেহারা খামারিরা লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত গরুর চামড়া ফুলে যায় এবং ফোসকা পড়ে

নীলফামারী: নীলফামারীর সৈয়দপুরে গবাদিপশুর মাঝে ব্যাপক হারে লাম্পি স্কিন ভাইরাসজনিত রোগ দেখা দিয়েছে। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে এরই মধ্যে ২০টি গরুর মৃত্যু হয়েছে। রোগের বিস্তার ঘটায় এবং চিকিৎসায় আরোগ্য না হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন গরুর খামারিরা। 

উপজেলার  কামারপুকুর, কাশিরাম বেলপুকুর, খাতামধুপুর, বোতলাগাড়ি ও বাঙালিপুর ইউনিয়নে ব্যাপক হারে গবাদিপশুর মাঝে এই ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে কামারপুকুর ইউনিয়নের দক্ষিণ নিয়ামতপুর গ্রামে ৪টি গরু, একই ইউনিয়নের দলুয়া চৌধুরীপাড়ায় গোলাম মোস্তফার একটিসহ অন্যান্য ইউনিয়ন মিলিয়ে মোট ২০টি গরুর মৃত্যু ঘটেছে।

 

উপজেলায় হঠাৎ করেই লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত গরুর সংখ্যা বেড়েছে। এই রোগে প্রথমে চামড়া ফুলে যায়, তারপর জ্বর আসে গবাদিপশুর। একসময় চামড়ায় ফোসকা পড়ে মাংস খুলে পড়ে যায়। এসব ভাইরাস আক্রান্ত গরু সস্তায় কিনে নিয়ে স্থানীয় কসাইরা হাটবাজারে জবাই করছেন। ফলে স্বাস্থ্য ঝুঁকিও বাড়ছে।  

এ ব্যাপারে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. আরিফুর রহমান জানান, রোগাক্রান্ত গরুর মাংস খাওয়া মোটেই সমীচীন নয়।  

শহরের ইউসুফ ডেইরী ফার্মের মালিক লায়ন জামিল আশরাফ মিন্টু জানান, ‘লাম্পি স্কিন রোগ নিয়ে বেশ আতংকে আছি। কারণ একটি গরুর এই রোগ হলে অন্যগুলোও আক্রান্ত হবে। আমার থামারে প্রায় ২০০ গবাদিপশু আছে।

সৈয়দপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ডা. রাশেদুল হক বলেন, এই ভাইরাসটি গেল বছর থেকে দেখা যাচ্ছে। এবছর রোগটি ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়েছে। গবাদি পশু চাষিরা এই রোগের সঙ্গে লড়াই করছেন। এখন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
 
তিনি জানান, প্রতি বছর দেশের বাইরে থেকে যে পশুগুলো দেশে আসছে তাদের শরীর পরীক্ষা না করার কারণেই এই ভাইরাসজনিত রোগটি ছড়িয়ে পড়ছে।

তিনি আরও বলেন, এ রোগে মৃত্যুহার কম হলেও ঝুঁকি বাড়ছে দুগ্ধ উৎপাদন ও পশু চামড়ার ক্ষেত্রে। এ রোগে আক্রান্ত হলে পশুর চামড়া অনেকটাই অকার্যকর হয়ে যায়। আবার গাভী আক্রান্ত হলে দুগ্ধ উৎপাদন কমতে থাকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২০
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।