নীলফামারীর সর্বত্র ইরি-বোরো ধান কাটা-মাড়াই পুরোদমে চলছে। ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে জেলার বিভিন্ন জায়গায় ফসল কিছুটা হেলে পড়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছে কৃষকরা।
বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কারণে কর্মহীন মানুষের মধ্যে আর্থিক দূরাবস্থা সৃষ্টির সুযোগ নিয়ে এসব নারী শ্রমিকদের খুব অল্প মজুরিতে কাজ করাচ্ছেন ধানচাষি ও গৃহস্থরা। একজন নারী শ্রমিক ২০ মন ধান সেদ্ধ করার বিনিময়ে পারিশ্রমিক পাচ্ছেন মাত্র ১০০-১৫০ টাকা। এ সামান্য টাকায় সংসার চালানো যেখানে মুশকিল সেখানে ঈদের আনন্দ তাদের কাছে একেবারে ফ্যাকাসে।
সৈয়দপুর পৌর এলাকার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম পাটোয়ারী পাড়ায় গিয়ে কথা হয় ধান সেদ্ধ করার কাজে ব্যস্ত নারী শ্রমিক শীলা রানী, ভারতী রানীর সঙ্গে। তাদের বাড়ি পার্শ্ববর্তী বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের বুচারীপাড়ায়। কাজের প্রয়োজনে এখানে এসেছেন তারা।
তারা বাংলানিউজকে বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে কর্মহীন হয়ে পড়ায় এবং আর্থিক সমস্যা দেখা দেওয়ায় বাধ্য হয়ে স্বল্প মজুরিতেই কাজ করতে হচ্ছে। প্রতিদিন প্রায় ২০ মণ ধান সেদ্ধ করে সারাদিন শেষে মাত্র ১৫০ টাকা মজুরি পাওয়া যায়। যা দিয়ে কোনো রকমে দিন চলে।
পুরুষ শ্রমিকরা এলাকার বাইরে গিয়ে কাজ করার সুযোগ পেলেও তারা বঞ্চিত। তাই ধান সেদ্ধ করার পাশাপাশি কাটা মাড়াইয়ের কাজও করছেন অনেক নারী।
করোনায় সরকারিভাবে বিভিন্ন ত্রাণ বা সহযোগিতা দেওয়ার কথা জানলেও তারা এ পর্যন্ত কোনো কিছুই পায়নি বলেও অভিযোগ করেন তারা। মেম্বার চেয়ারম্যানরা মুখ দেখে দেখে ত্রাণ দিচ্ছে। তারা ভোটের রাজনীতি করছেন। যারা ভোট দেবে বলে ওয়াদা করছেন তাদের ত্রাণ, অর্থ সহায়তাসহ সব ধরনের সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে। যে কারণে অনেক স্বচ্ছল পরিবারের লোকজনও সরকারি সহায়তা পেলেও প্রকৃত দরিদ্র ও কর্মহীন অসহায় মানুষ বঞ্চিত হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৪ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২০
এনটি