বুধবার (২৭ মে) সকালে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, তিস্তার ব্যারাজ এলাকায় পানি ওঠানামা করছে। তবে বিপৎসীমা অতিক্রম করার কোনো লক্ষণ নেই।
তিস্তার ব্যারাজের গ্রেডরিডার নুরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, তিস্তার পানি কখনো বাড়ে কখনো কমে আসে। গত দুইদিন ধরে উজানের পানি বাড়লেও তা কমতে শুরু করেছে। এখন তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করার কোনো লক্ষণ নেই। তিস্তার ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখায় ঢলের পানি ভাটি অঞ্চলে প্রবাহিত হচ্ছে।
প্রতিবছরের ঈদের ছুটিতে সপ্তাহজুড়ে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ডালিয়া অবস্থিত দেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তার ব্যারাজের কমান্ড এলাকায় পর্যটক হিসাবে নারী, পুরুষ ও শিশু দর্শনার্থীদের পদভারে মুখরিত হতো। মেলার মতো বসতো ভ্রাম্যমাণ খাবার হোটেল, দোকানপাট ও খেলাধূলার রাইটস। কিন্তু বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে এবার তিস্তার ব্যারাজ এলাকাদর্শনার্থী শূন্য। কিন্তু ভারত থেকে দুই হাতি এসে নদীতে খেলা করছে বলে গুজব ছড়ালে লোক সমাগমের চেষ্টা চালায় ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীরা।
তিস্তাপাড়ের লোকজন জানায়, ভারী বৃষ্টিপাত ও হঠাৎ উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি চলে আসে। এতে নদীতে পানির প্রবাহ বেড়ে গেছে।
চরখড়িবাড়ি, বাইশপুকুর, একতার চর এলাকাবাসী জানায়, নদীর পানি বাড়ায় চরের নিচু এলাকার ফসলি জমি তলিয়ে যায়। বুধবার সকালে পানি কমে আসায় বিপদ কেটে গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮১৮ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২০
এএটি