মঙ্গলবার (২৬ মে) বিকেলে কোটালীপাড়া উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের তালপুকুরিয়া গ্রামের বিলের মধ্যে একটি মাছের ঘের পাড়ে মাটিচাপা দেওয়া অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। কমলেশ একই গ্রামের কেনারাম বাড়ৈর ছেলে।
এ ঘটনায় পুলিশ ওই কাঠমিস্ত্রির স্ত্রীসহ চারজনকে আটক করেছে। স্ত্রীর পরকীয়ার জেরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন ওই কাঠমিস্ত্রির পরিবার।
কমলেশের ভাই রবেণ বাড়ৈ জানান, কমলেশের স্ত্রী সুবর্ণা বাড়ৈর সঙ্গে প্রতিবেশী মাছের ঘের ব্যবসায়ী মন্মথ বাড়ৈ দীঘদিন ধরে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো এবং তাদের মধ্যে মনোমালিণ্য চলছিলো। এ ঘটনায় এলাকায় একাধিকবার সালিশ বৈঠক করা হয়। কিন্তু এতেও কোনো কাজ হয়নি। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে কমলেশ নিখোঁজ হয়। কমলেশের নিখোঁজের ঘটনায় গত ৩ মার্চ কোটালীপাড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। জিডির সূত্রধরে পুলিশ তদন্তে নামে। এ ঘটনায় গ্রামের বিভিন্ন মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। মঙ্গলবার মন্মথ বাড়ৈর মাছের ঘেরপাড়ে গ্রামের বিপুল বাড়ৈ নামে একলোক ঘাস কাটতে গিয়ে মাটি খোঁড়া দেখতে পান। পরে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটি খুঁড়ে কমলেশের মরদেহ উদ্ধার করে।
তিনি আরও জানান, সুবর্ণা পরকীয়া প্রেমিক মন্মথের সহযোগিতায় কমলেশকে হত্যা করে মরদেহ ঘেরপাড়ে মাটিচাপা দিয়ে রাখে। তিনি দোষীদের গ্রেফতার করে বিচারের দাবি জানান।
কোটালীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ লুৎফর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, পরকীয়া প্রেমের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পরে। এ ঘটনায় জড়িত কমলেশের স্ত্রী সুবর্ণা বাড়ৈ ও তার পরকীয়া প্রেমিক মন্মথ বাড়ৈর ভাই কৃষ্ণ বাড়ৈ, সহযোগী বিষ্ণু বাড়ৈ ও মন্মথের বন্ধু কালু বাড়ৈকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধারের পর সুবর্ণা কমলেশের মরদেহ শনাক্ত করেন। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
প্রধান অভিযুক্ত মন্মথ বাড়ৈকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২০
ওএইচ/