ঈদ বিনোদনের অংশ হিসেবে বিকেলের সময় কাটানোর জন্য নানা বয়সী মানুষের পদচারণায় মুখোর থাকছে এ সব এলাকা।
মঙ্গলবার (২৬ মে) বিকেলে জেলার শিবচর উপজেলার পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ নদীর পাড় এবং পদ্মাসেতুর টোল প্লাজা থেকে ভাঙা পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ে ঘুরে ঈদ বিনোদনে মেতে উঠতে দেখা গেছে বিভিন্ন এলাকার মানুষকে।
কাঁঠালবাড়ী সংলগ্ন পদ্মাসেতু এলাকা, অ্যাপ্রোচ সড়ক, আড়িয়াল খাঁ নদের হাজী শরিয়তউল্লাহ সেতুর নদী শাসন বাঁধ, কাওড়াকান্দি ঘাটের পদ্মানদীর শাসন বাঁধ, ভাঙ্গা উপজেলার পুলিয়া এলাকার এক্সেপ্রেসওয়ের সংলগ্ন নদীশাসন বাঁধ এলাকায় শতশত মানুষের আনাগোনা রয়েছে। শিশু-কিশোর, উঠতি বয়সী তরুণ-তরুণী আবার পরিবার-পরিজন নিয়েও অনেকে এসেছেন ভ্রমণে। করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সামাজিক দূরত্ব মানার কথা থাকলেও ঘুরতে আসা এসব মানুষের মধ্যে তেমন কিছুই দেখা যায় নি।
ভাঙ্গা উপজেলার আজিমনগর এলাকা থেকে আসা হাফিজুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বাড়িতে বসে থাকতে থাকতে ভালো লাগছিল না। পরিবারের সবাইকে নিয়ে একটু ঘুরতে বেরিয়েছি। নদীর পাড়ের এলাকাটা বেশ চমৎকার। প্রচুর বাতাসও রয়েছে। বিকেলটা ভালো কাটছে।
স্থানীয় সাইফুল নামের এক যুবক বলেন, বিকেলে নদীর পাড়ে ঘুরতে ভালো লাগে। বিভিন্ন এলাকার লোকজন আসে। ঈদের সময় মানুষের ভিড় বেশি হয়। দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন আসে সময় কাটাতে। আসলে আশেপাশে কোনো বিনোদনকেন্দ্র না থাকায় পদ্মা-আড়িয়াল খাঁ নদী কেন্দ্রিক এলাকা, পদ্মাসেতু আর মহাসড়কের আশেপাশেই লোকজন ঘোরাফেরা করে।
শিবচরের উৎরাইল এলাকার যুবক শাজাহান হাওলাদার বলেন, করোনা ভাইরাসের সময়টায় মূলত বাড়ি থেকে বের হইনি। ঈদকে কেন্দ্র করে একটু ঘুরতে আসলাম। দীর্ঘ আড়াই মাস পরে বাইরে আসা। সূর্যনগর থেকে পুলিয়া পর্যন্ত নদীড় পাড়ের শাশনবাধ আর পাশের দৃষ্টিনন্দন এক্সপ্রেসওয়ে দেখতে ভালোই লাগে।
সরেজিমনে ঘুরে দেখা যায়, ইজিবাইক, ভ্যান, মোটরসাইকেলে করে নানা বয়সী লোকজন এসব এলাকায় ঘুরতে এসেছে। কেউ নদীর পাড়ে বসে বাদাম খাচ্ছে আবার কেউ নদীর পানিতে পা ভিজিয়ে বসে আসে। এছাড়া নদীর পাড় ধরে অলস ভঙ্গিতে হেঁটে বেড়াচ্ছে। এদিকে লোকজনের জটলা ভঙ্গ করতে কিছুক্ষণ পরপরই হাইওয়ে পুলিশের তৎপরতা দেখা গেছে। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে এবং মহাসড়কে ঘুরে বেড়ানো ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় বিনোদন প্রেমীদের ফিরে যেতে অনুরোধ করছেন তারা।
শিবচর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অহিদুজ্জামান জানান, ঈদের সময় মহাসড়কে, আড়িয়াল খাঁ সেতুতে সাধারণ মানুষের প্রচুর ভিড় থাকে। যেটা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। আমরা চেষ্টা করছি সড়কে-সেতুতে ভিড় নিয়ন্ত্রণের। মহাসড়কে আমাদের টহল অব্যাহত রয়েছে।
করোনা ভাইরাসের কারণে অনেকটাই থমকে আছে জনজীবন। এবারের ঈদের আনন্দ তাই ভাটা পড়েছে অনেকটাই। একটানা বাড়ি থেকে বোরিং হয়ে ওঠা কাটাতে বিকেলে একটু ঘুরতে বের হওয়া। দর্শণীয় তেমন কোনো স্থান না থাকায় সেতু সংলগ্ন এলাকাতেই বারবার আসতে হয়। নদীর স্নিগ্ধ বাতাস বিকেলের সময়টায় এনে দেয় অন্যরকম প্রশান্তি-ফুরফুরে মেজাজ এমনটাই অভিমত ঘুরতে আসা বিনোদন প্রেমীদের।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৯ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২০
এনটি