মঙ্গলবার (২৬ মে) দুপুরে উপজেলার বনগ্রাম বাজার ও আইকদিয়া গ্রামে এসব সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুইজনকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে, ১২ জনকে মুকসুদপুর উপজেলা হাসপাতালে এবং অন্যদের বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, বনগ্রাম বাজারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের ছেলে আলমগীর মিয়ার ওষুধের দোকানের সামনে মহারাজপুর গ্রামের ইজিবাইক চালক লাবলু খান তার ইজিবাইক রাখাকে কেন্দ্র করে দুইজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এর জেরে বনগ্রাম ও মহারাজপুর গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে মুকসুদপুর থানার ওসি মির্জা আবুল কালাম আজাদসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
অপরদিকে, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বনগ্রাম বাজারের পাশের গ্রাম আইকদিয়া ও পাইকদিয়া গ্রামবাসীও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। পুলিশ প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মুকসুদপুর ও কাশিয়ানী সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তারা মুকসুদপুর উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩২ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২০
এনটি