ঠিক এক বছর আগেও এই দিনে হাজারো পর্যটকের সমাগম ঘটেছে খাগড়াছড়িতে। সকাল হতেই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকবাহী গাড়িতে ভরে যেত জেলার প্রাণকেন্দ্র শাপলা চত্বর।
জেলার আলুটিলা, সুরঙ্গ, রিছাং ঝরনা, হর্টি কালচার পার্ক, মায়াবিনী লেকে এখন পর্যটক শূন্য। দেশের অন্যতম ক্রেজি স্পট সাজেকে ভ্রমণপিপাসুরা যাচ্ছে না অনেক দিন। করোনার কারণে গত দুই মাস ধরে মন্দা পর্যটন ব্যবসা। অনেক হোটেল, মোটেল আপাতত বন্ধ রয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। এমন পরিস্থিতি থাকলে পর্যটন খাতে দীর্ঘমেয়াদি সমস্যার মুখে পড়তে হবে বলে জানান তারা।
যানবাহন, হোটেল-মোটেল বুকিং হয়ে যেত মাসখানেক আগে থেকে। তাৎক্ষণিক এসে হোটেল কিংবা যানবাহন বিড়ম্বনা যেন স্বাভাবিক ছিল। ঠিক এক বছরের মাথায় মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে উল্টো চিত্র খাগড়াছড়িতে। সরকারি নিদের্শনা অনুযায়ী গত দুই মাস ধরে বন্ধ দোকানপাট। চলছে না যানবাহন। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে হোটেল। পর্যটকদের পছন্দের খাবারের প্রতিষ্ঠান মন টানা হোটেলের পরিচালক রুবেল পারভেজ জানান, ঈদের বন্ধে আসা পর্যটকদের জন্য প্রতিদিন তিনশ থেকে সাড়ে তিনশ জনের খাওয়ার আয়োজন করা হতো। কিন্তু এ বছর প্রায় দুই মাসের বেশি সময় ধরে হোটেল বন্ধ। ২০ জন কর্মচারীর অধিকাংশ এখন বেকার।
খাগড়াছড়ি আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি কল্যান মিত্র বড়ুয়া বলেন, করোনার প্রভাবে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত পর্যটনখাত। আর পর্যটন ব্যবসায়ীদের মধ্যে হোটেল মালিকরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন। আড়াই মাস ধরে খাগড়াছড়ির ৩০টির অধিক হোটেল বন্ধ রয়েছে। আয় না থাকায় অনেক হোটেল কর্মীদের বেতন দিতে হিমশিম খাচ্ছে।
তিনি পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সরকারি সহায়তার আওতায় আনার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৫ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২০
এডি/এএটি