ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ভাসমান ও অসহায়দের নিয়ে ঈদ উদযাপন করলো গণমাধ্যম কর্মীরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৯ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২০
ভাসমান ও অসহায়দের নিয়ে ঈদ উদযাপন করলো গণমাধ্যম কর্মীরা

বরিশাল: সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ভাসমান এবং অসহায় নারী-পুরুষ ও শিশুদের নিয়ে ঈদ উদযাপন করলো বরিশালের গণমাধ্যম কর্মীরা।

সোমবার (২৫মে) সকালে বরিশাল নগরের নদী বন্দর এলাকায় এক শত ভাসমান ও অসহায় নারী-পুরুষ এবং শিশুদের মিষ্টিমুখ করানোর মধ্য দিয়ে ঈদ উৎসব শুরু করেন গণমাধ্যম কর্মীরা।

সেসময় এসব অসহায় মানুষদের সেমাই ও মুড়ি খাওয়ানোর পাশাপাশি শিশু, যুবক ও তরুণীদের সালামিও প্রদান করা হয়।

যেখানে উপস্থিত ছিলেন, বিডিবুলেটিন এর প্রকাশক ও সম্পাদক কাজী আফরোজা, বরিশাল নিউজ এডিটরস্ কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক রিপন হাওলাদার সহ গণমাধ্যমকর্মীরা।

পরে দুপুরে আড়াইশতাধিক নারী-পুরুষ এবং শিশুদের মাঝে পোলাউ, কোরমা ও গোশত খাওয়ানো হয়।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন শহীদ আব্দুর রব বরিশাল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন, সিনিয়র সাংবাদিক সাইফুর রহমান মিরন, মঈনুল ইসলাম সবুজ, ফিরোজ মোস্তফাসহ গণমাধ্যমকর্মীরা।

মঈনুল ইসলাম সবুজ জানান, গত ২৬ মার্চ থেকে বরিশাল নদী বন্দরে বরিশালের গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্যোগে কর্মহীন হয়ে পড়া ভাসমান ও অসহায় নারী-পুরুষ এবং শিশুদের রান্না করা খাবার সংগ্রহ শুরু করা হয়।  আর ১ এপ্রিল থেকে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ দুপুরের খাবার সংগ্রহ করে। তবে ২৪ এপ্রিল কর্তৃপক্ষ দুপুরের খাবার বন্ধ করে দিলে ২৫ এপ্রিল তা জানতে পারে গণমাধ্যমকর্মীরা। এরপর ২৬ এপ্রিল থেকে দুপুরেও গণমাধ্যমকর্মীদের সহযোগিতায় ভাসমান ও অসহায় নারী-পুরুষ এবং শিশুদের মাঝে খাবার সংগ্রহ শুরু করা হয়।

৩ মে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ পুনরায় দুপুরে খাবার সংগ্রহ শুরু করে। এরপর থেকে দুপুরে একদিন বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ ও একদিন গণমাধ্যমকর্মীরা অসহায় এসব মানুষদের খাবার দিচ্ছে। আর রাতে এককভাবে গণমাধ্যমকর্মীরা খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে। যে কাজে গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ ও সংগঠন সহায়তা করছেন।

ধারাবাহিকতায় ঈদের আগে নদী-বন্দর এলাকার ভাসমান নারী ও পুরুষদের ভাগ ভাগ করে লুঙ্গি ও শাড়ি দেয়া হয়। আর পথশিশুদের গেঞ্জি ও প্যান্ট দেয়া হয়। এছাড়া ঈদের দিন সকালে বিশেষ খাবার হিসেবে সেমাই ও মুড়ি এবং দুপুরে পোলাউ-গোশত, ডিমের কোরমা খাওয়ানো হয়। রাতেও রয়েছে বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা।

তিনি আরো বলেন, এসব পথ শিশুদের ঈদ আনন্দ আরো বাড়িয়ে দেয়ার জন্য সেলামির ব্যবস্থাও করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘন্টা, মে ২৫, ২০২০
এমএস/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।