ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ঈদের ব্যস্ততা নেই মহাসড়কেও

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৬ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২০
ঈদের ব্যস্ততা নেই মহাসড়কেও

মাদারীপুর: করোনা ভাইরাসের কারণে (কোভিড-১৯) সন্ত্রস্ত জনপদ। বিগত বছরগুলোতে ঈদের দিনেও ঘরমুখো মানুষের স্রোত ছিল মহাসড়কে। পরিবহনের ব্যস্ততায় মুখোর ছিল মহাসড়ক। দূরপাল্লার পরিবহনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত পরিবহন, মোটরসাইকেল, থ্রি-হুইলারে করেও ঈদের সকালে ঘরে ফেরার ব্যস্ত চিত্র দেখা যেতো। এ বছর মহাসড়কে নেই আগের সেই ব্যস্ততা।

মাদারীপুর জেলার শিবচরের উপর দিয়ে দেশের অন্যতম দৃষ্টিনন্দন সড়কের বয়ে চলা। ঢাকার যাত্রাবাড়ি থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ে যান চলাচলের জন্য গত কয়েক মাস আগে উন্মুক্ত করা হয়।

যানবাহন চলাচলের জন্য চমৎকার এই সড়ক পেয়ে পরিবহন চালকদের উচ্ছ্বাস চোখে পড়তো। ৬ লেনের এই সড়কে ছোট গাড়ি চলাচলের জন্য আলাদা লেন রয়েছে। তাছাড়া সড়কটি ওয়ানওয়ে পদ্ধতির। ঈদের ব্যস্ততা নেই মহাসড়কে। চলছে না পরিবহন, দূরপাল্লার কোন গাড়িও। যাত্রী সংকট থাকায় ছোট পরিবহনও মহাসড়কে কম রয়েছে সকাল থেকে। ফলে অনেকটাই সুনসান রয়েছে দেশের অন্যতম এই মহাসড়কটি।

সোমবার (২৫ মে) সকালে এক্সপ্রেসওয়ের সূর্যনগর স্থানে গিয়ে দেখা যায় অনেকটাই পরিবহন শূন্য মহাসড়কের এই চিত্র। এ সময় কথা হয় ইজিবাইক চালক হান্নান মিয়ার সঙ্গে। কেমন কাটছে ঈদের সকাল? প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভেবেছি সকালের দিকে যাত্রী পাবো। কিন্তু লোকজন রাস্তায় নেই। গতবারে ঈদের সকালেও অনেক ব্যস্ত ছিল মহাসড়ক। যাত্রীদের আনাগোনা, পরিবহনের চাপ। কিন্তু এ বছর তেমনটা নেই। কেমন যেন সুনসান চারপাশ।

এক্সপ্রেসওয়ে।  ছবি: বাংলানিউজ

এক মাহিন্দ্রা চালক বলেন, এ বছরের ঈদ ভিন্ন রকমের। মানুষ অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে ঘোরাফেরা করে না। গতবার তো ঈদের নামাজের পরই নানা বয়সী মানুষ দলবেঁধে ঘুরতে বের হতো। গাড়ি ভাড়া করে মহাসড়ক ও আশেপাশে ঘুরতে যেতো। এবার কাউকে দেখছি না।

আরাফাত ইসলাম নামের স্থানীয় এক যুবক বলেন, মহাসড়কের পাশেই আমাদের বাড়ি। অন্য বছরে এসময় যে ব্যস্ততা ছিল। এবার তা নেই। পরিবহন চলছে না। মাঝে মধ্যে ছোট গাড়ি যাওয়া-আসা করছে। সব মিলিয়ে মহাসড়কের চিত্র এমন ছিল না।

ভ্যানচালক হেমায়েত বলেন, ঈদের দিন অনেকেই ঘুরতে আসে। ভ্যানে চড়ে সড়কে ঘুরে বেড়ায়। নিচের লেন (ছোট গাড়ি চলাচলের) দিয়ে ধীরে ভ্যানগাড়ি চালাই আমরা। ঈদের দিনের বাড়তি উপার্জন বেশ ভালোই হতো। কিন্তু এবারে তেমনটা এখনো দেখা যাচ্ছে না।

ফরিদপুরের ভাঙা থেকে ঢাকার যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত এ সড়ক পথের দূরত্ব ৫৫ কিলোমিটার। এরমধ্যে শিবচরের পাঁচ্চর থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত পথের দূরত্ব ২০ কিলোমিটার। এই অংশটুকুতে ৫টি ব্রিজ, ১৩টি কার্লভার্ট ও তিনটি আন্ডারপাস রয়েছে। এই সড়কটি বেশ দৃষ্টিনন্দন হওয়ায় সাধারণ মানুষ সময় কাটাতে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়ায়। ছোট পরিবহনের করে এক্সপ্রেসওয়ে আবার কখনো পদ্মাসেতুর অ্যাপ্রোচ সড়কে যায়। বিগত বছরগুলোর সেই দৃশ্য এখন পর্যন্ত দেখা যায় নি। নেই পরিবহনে ঘরে ফেরা মানুষের ব্যস্ততাও। সব মিলিয়ে ঈদের সেই ব্যস্ততা নেই মহাসড়কে।

বাংলাদেশ সময়: ১১২০ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২০
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।