সোমবার (২৫ মে) পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন সকালে বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান জেলা কারাগারের জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ।
ইতোমধ্যে জেলা কারাগারে বেশ কয়েকজন কারারক্ষী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনে ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তিনি জানান, ঈদ কেন্দ্র করে আমরা প্রতিবছর বন্দিদের সঙ্গে আত্মীয়দের বিশেষ সাক্ষাতের সুযোগ করে দিই। তাদের রান্না করা খাবার বন্দিদের পৌঁছে দেই। এবার সেটি থেকে আমরা বিরত থেকেছি। তবে সরকারের পক্ষ থেকে উন্নতমানের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এবার বন্দিদের সঙ্গে কারও সাক্ষাতের কোনো সুযোগ ছিল না। প্রতিবছর তিন দিনব্যাপী খেলাধুলা, গান-বাজনার বিশেষ আয়োজন থাকলেও এবার তা হয়নি।
জেলা সুপার জানান, সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে প্রতিটি ভবনের বন্দি ব্যারাকের মধ্যে শুধু ও ভবনের বন্দিরা ঈদ জামাতে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে নামাজ আদায় করেছেন। এরপর সকালে মুড়ি-পায়েস দেওয়া হয়েছে। দুপুরে পোলাও, মাংস, মুরগির রোস্ট, কোল্ড ড্রিংকস ও পান-সুপারি দেওয়া হবে। সন্ধ্যায় দেওয়া হবে ভাত-মাছ ও সবজি।
তিনি আরও জানান, এ বছর করোনা সংক্রামণের ঝুঁকি থাকায় এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারাগারে এখন বন্দি সংখ্যা প্রায় ১৭০০। এছাড়া কর্মরত রয়েছেন প্রায় ৩০০ কারারক্ষীসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ইতোমধ্যে কারাগারে বেশ কয়েকজন কারারক্ষী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনে গেছেন। তাই বিশেষ সতর্কতার অংশ হিসেবেই বন্দি সাক্ষাৎ বন্ধ করা হয়েছে। তবে ঈদে টেলফোনের মাধ্যমে কারাগারের নির্ধারিত বুথ থেকে স্বজনদের সঙ্গে কথা বলতে পারছেন বন্দিরা।
বাংলাদেশ সময়: ১১২২ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২০
টিএ