এ সময় ঈদের চাঁদ রাতের প্রথম অংশেই রাত সাড়ে ১২টায় স্বেচ্ছাসেবী টিম নিয়ে রাতের মধ্যেই গোসল জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন করা হয়।
বলছি করোনা আক্রান্তদের সেবায় নিয়োজিত নারায়ণগঞ্জের আলোচিত কাউন্সিলর যিনি করোনার শুরু থেকেই নানা কার্যক্রম ও করোনায় মৃতদের দাফন-কাফনে এগিয়ে এসে এখন পর্যন্ত অর্ধশতাধিক মরদেহ দাফন করেছেন সেই মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের কথা।
সোমবার ভোরে দাফন শেষে ফিরে বাংলানিউজের সঙ্গে কথা হলে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি জানান, এটি তাদের টিমের ৫৮তম দাফন। এর আগে রোববার রাত সাড়ে ১১টায় আরেকজনের করোনা পজিটিভ মরদেহের দাফন শেষে ফিরেই এই দাফনটি করতে যান। খোরশেদ বলেন, সোমবার আমার ১৯তম বিয়েবার্ষিকী ও পবিত্র ঈদের দিন। রোববার আমার স্ত্রীর টেস্ট রিপোর্টে করোনা ধরা পড়লেও আমার পরিবারের বাকি সবাই ভালো আছেন। আমি আমার এই যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই আলাদা থাকছি। হঠাৎ রাতে বন্দরের এক ব্যবসায়ীর ছেলে এলএলবি অনার্সে অধ্যয়নরত আকিব জানান তার বাবা মারা গেছেন। তাকে বলি অ্যাম্বুলেন্স থেকে মরদেহ নামিয়ে রাখো আমরা আসছি।
তিনি আরও জানান কেউ এগিয়ে আসছেন ভাই তাই মরদেহও নামাতে পারছি না। পরে সব ক্লান্তিকে পেছনে ফেলে, স্ত্রী করোনায় আক্রান্ত ও বিয়েবার্ষিকী ভুলে যাই। পাশাপাশি কিছুক্ষণ পর ঈদ সেটিও ভুলে গিয়ে টিম মেম্বারদের নিয়ে দাফনের জন্য রওয়ানা দেই। পরে সাড়ে ১২টায় সেখানে পৌঁছাই। রাত দেড়টায় গোসল ও জানাজা শেষে দাফন করি। কিন্তু কবরে দেওয়ার জন্য বাঁশ না পাওয়ায় সেন্টারিংয়ের বাঁশের মাচা দিয়ে দাফন করি। এই সময়েও আমাদের দাফনের টিমে অংশ নেন হীনা, হাফেস শিব্বির, আনোয়ার, সেলিম মোল্লা, সুমন ও রাফী। ঈদের দিনও আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৪ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২০
এএটি