ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ভালো নেই বাস-মিনিবাস ও মাইক্রোবাস-শ্রমিকরা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩৭ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২০
ভালো নেই বাস-মিনিবাস ও মাইক্রোবাস-শ্রমিকরা

ঝিনাইদহ: নাম বাবলু মিয়া। পেশায় একজন বাসের সময় নিয়ন্ত্রক। বাড়ি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কাষ্টসাগরা গ্রামে। স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে বাস-মিনিবাস শ্রমিকের সময় নিয়ন্ত্রকের কাজ করে ভালোই চলছিল তার সংসার। কিন্তু মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন বাস বন্ধ থাকায় আয় রোজগার নেই তার। ফলে স্ত্রী সন্তান নিয়ে চরম মানবেতর জীবনযাপন করছেন তিনি।

শুধু বাবলু মিয়া নয়, তার মতো ঝিনাইদহ জেলার বাস-মিনিবাস ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের প্রায় সাড়ে চার হাজার শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। অভাব-অনটনে পড়ে তাদের সংসারের চাকাও যেন থমকে যেতে বসেছে।

অসহায় হয়ে পড়া শ্রমিক পরিবারগুলোর পাশে নেই শ্রমিক সংগঠনের নেতারা।

যাত্রীবাহী বাসের সুপারভাইজার দাউদ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, প্রায় দীর্ঘ ২০ বছর ধরে তিনি যাত্রীবাহী বাসের সুপারভাইজার হিসেবে কাজ করে আসছেন। দুর্যোগকালীন সময়ে শ্রমিকদের সহযোগিতা ও সংগঠনে নিয়মিত চাঁদা দিয়ে থাকেন। কিন্তু মহামারি করোনার ভাইরাসের এ সময়ে কর্মহীন হয়ে পড়লেও সংগঠনের পক্ষ থেকে তেমন কোনো সহযোগিতা পাননি। বর্তমানের ঈদকে সামনে রেখে স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে অনেক কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। দু’বেলা দু’মুঠো খাবার যোগাতেই হিমশিম খাচ্ছেন, সেখানে ঈদ সামগ্রী তো দূরের কথা। চলমান পরিস্থিতে সংগঠনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা পেলে স্ত্রী সন্তান নিয়ে অন্তত দু’বেলা খেয়ে বাঁচতে পারতেন। তাই সংগঠনের ও সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতার জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন।

শ্রমিকদের অভিযোগ, আপদকালীন শ্রমিকদের সহযোগিতা ও সংগঠনের নাম করে বছরের পর বছর ধরে শ্রমিকদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করা হয়। কিন্তু করোনা পরিস্থিতে কর্মহীন হয়ে পড়া গণপরিবহনের এসব শ্রমিকের এখন সংগঠনের চাঁদা আদায়ের টাকা থেকে কোনো প্রকার সহযোগিতা করা হচ্ছে না। ফলে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা।

ঝিনাইদহ জেলা বাস-মিনিবাস ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান খোকন বাংলানিউজকে জানান, মহামারি করোনা সময় গণপরিবহন বন্ধ হওয়ার পর শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়েছেন। আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে ৮০০ শ্রমিকের কিছুটা আর্থিক সহযোগিতা করেছি। এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমি ৬০০ জনকে সহযোগিতা দিলেও তা যথেষ্ট নয়। সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের কাছে তালিকা পাঠিয়েছি।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৪ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২০
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad
welcome-ad