অপ্রয়োজনে বাড়ি থেকে বের হওয়া এবং ঈদ উপলক্ষে জনসমাগম ও আড্ডা না করতে নির্দেশনা প্রদান করেছে উপজেলা প্রশাসন। আর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে ঈদের দিন সকাল থেকে পুরো দমে মাঠে নামছে পুলিশ।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, রোববার (২৪ মে) রাতে পঞ্চগড় জেলায় একদিনে সর্বোচ্চ ১৪ জনের মাঝে করোনা শনাক্ত হয়। আর এ নিয়ে পুরো জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ৫১ জনে। এদিনে একজন রোগী বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে মারা গেলেও সুস্থ হয়েছেন ১০জন। আর এ করোনার কালে পবিত্র ঈদুল ফিতরে উপজেলার বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে লোকজনের সমাগম বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি করোনা ছড়িয়ে পড়ার আশংকায় সোমবার (২৪ মে) থেকে কড়া অবস্থানে থাকছে পুলিশ।
তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, পুরো উপজেলায় ঈদগাহের পরিবর্তে নির্দিষ্ট সময়ে মসজিদে ঈদের জামাত আদায় হবে। তবে আমাদের পুলিশ সদস্যরা সবার আগে সকাল ৭টায় থানা মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করে পুরো উপজেলায় ছড়িয়ে পড়বে। যদি কেউ অকারণে মোটরসাইকেল নিয়ে বিনোদন কেন্দ্রসহ বিভিন্ন স্থানে ঘোরাফেরা করে বা জনসমাগম করে তাহলে আমাদের পুলিশ সদস্যরা তাদের আটক করবে এবং তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহাগ চন্দ্র সাহা বাংলানিউজকে জানান, ইতিমধ্যে আমরা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঢাকা সহ বিভিন্ন জেলা থেকে আগতদের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করেছি। উপজেলা প্রশাসনসহ পুলিশের পক্ষ থেকে ঈদে উপজেলাবাসীর সুরক্ষার কথা চিন্তা করে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনেক আগেই সকল ধরণের বিনোদন কেন্দ্রগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। এর পরেও অনেকেই ঈদ উপলক্ষে বের হতে পারে। তাই আমরা উপজেলাবাসীর কথা চিন্তা করে এ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।
উপজেলা প্রশাসন থেকে সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে, কেউ অপ্রয়োজনে বের হবেন না। ঘরে থাকুন, সুস্থ্য থাকুন এবং প্রয়োজনে বাড়ি থেকে বের হলে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করুন।
বাংলাদেশ সময়: ০৫২২ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২০
এমকেআর