রোববার (২৪ মে) সকাল ১১টার দিকে দেখা গেছে শেষ মুহূর্তে বগুড়া শহরের নামকরা বিভিন্ন হোটলে, শো-রুম ও মিষ্টির দোকানগুলোতে ছুটছেন ক্রেতারা। ব্যস্ত সময় পার করছেন দোকানিরাও।
প্রত্যেক বছর ঈদের আগ মুহূর্তে এসে দই ও মিষ্টান্ন সামগ্রীর দাম কিছুটা বেড়ে যায়। এবারো তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। অন্যান্য সময়ের চেয়ে ঈদে দই-মিষ্টির দাম কিছুটা বৃদ্ধি হয়ে যায়। এসব অভিযোগ ক্রেতা সাধারণের। অন্যদিকে দই ব্যবসায়ীরা দাম বৃদ্ধির কথা স্বীকার করলেও এর যথেষ্ট কারণ দেখাচ্ছেন। দেশে এবছর করোনা পরিস্তিতিতে এলোমেলো হয়ে পড়েছে ব্যবসা। এরই মধ্যে দুধের দাম বাড়তিতে চলে যায়। প্রতিকেজি দুধের দাম ৪০ থেকে ৪৫ টাকা থেকে বেড়ে বর্তমানে ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে কিনতে হয়েছে। আর দই তৈরির প্রধান উপাদানই হলো দুধ। এ কারণে দইয়ের দাম বাড়তি বলে দাবি করেন ব্যবসায়ীরা।
ঈদে পোলাও, গোস্ত খাওয়ার পর এ অঞ্চলের সিংহভাগ মানুষ দই খাওয়া পছন্দ করেন। তাই ঝাল খাওয়ানো শেষে প্রতিবেশি, আত্মীয়-স্বজন, নিমন্ত্রণে আসা অতিথিকে খ্যাতির এই দই খাওয়ানোটা বগুড়াবাসীর রেওয়াজে পরিণত হয়েছে।
বাদশা মিয়া, ইলিয়াস হোসেন, ইমরান বাংলানিউজকে জানান, প্রতি পিস স্পেশাল সরা দই বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা, বাটি দই ৯০ টাকা, ক্ষিরসা ৩২০ টাকা, চমচম, মৌচাকা, কালোজাম (বড়) মিষ্টি প্রতিকেজি ২০০ টাকা, কালোজাম (ছোট) ১৯০ টাকা, রাজভোগ ২২০ টাকা, হাসিখুশি ২০০ টাকা, কমলা, (ছোট), লালমণ ২০০ টাকা, সন্দেশ ৩০০ টাকা। সালমান সাইফ, রাব্বি খন্দকার, রশিদুল ইসলামসহ একাধিক ক্রেতা বাংলানিউজকে জানান, আগামীকাল ঈদ। ঈদে প্রতিটি বাড়িতে চলে ভালো রান্নার আয়োজন। সেই সঙ্গে পরিবার ও আত্মীয়-স্বজন নিয়ে একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া। এমন উৎসবে দই বিয়োগ মানা অসম্ভব। তাই দই কিনতে শহরে প্রবেশ করেছেন তারা।
তারা বলেন, শেষ মুহূর্তে নামিদামি প্রায় সব দোকানেই কিছু কমবেশি করে মিষ্টি বিক্রি করা হচ্ছে। তবে দইয়ের ক্ষেত্রে চিত্রটা আলাদা। একটু নামকরা প্রতিষ্ঠান হলেই প্রতি সরা দইয়ের বিপরীতে বাড়তি টাকা গুণতে হচ্ছে যোগ করেন এসব ক্রেতা।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩২ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০২০
কেইউএ/এএটি