ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

ঢাকা করোনার ডিপো হয়ে বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে: ডা. মুশতাক

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪৯ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০২০
ঢাকা করোনার ডিপো হয়ে বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে: ডা. মুশতাক

ঢাকা: মানুষের চলাচল সীমাবদ্ধ করতে না পারলে পুরো ঢাকা শহরটাই করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ডিপো হয়ে যাবে এবং সেই ডিপো থেকে সংক্রমণের ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ ঘটতে পারে, আশঙ্কা প্রকাশ করছেন রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) অন্যতম উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) কার্যকরী সদস্য ডা. মুশতাক হোসেন।

দেশের লকডাউন পরিস্থিতি শিথিল, মার্কেটে ভিড়, ঈদে বাড়ি ফেরা, পরিবার-আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে মেশা এবং পরে রাজধানীমুখী হওয়া— করোনা ভাইরাস বিস্তার কোন পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে, সেই তথ্য জানাতে ডা. মুশতাক হোসেনের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলানিউজের স্টাফ করেসপন্ডেন্ট রেজাউল করিম রাজা।

তখন আশঙ্কা প্রকাশ করে ডা. মুশতাক হোসেন বলেছেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধ করতে হলে মানুষের চলাচল অবশ্যই সীমিত করতে হবে।

শহরের প্রতিটা গলির মুখে, রাস্তার মোড়ে চেকপয়েন্ট করে খুব বেশি জরুরি কাজ ছাড়া বের হতে না দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে। না হলে শহরটাই করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ডিপো হয়ে যাবে। এবং সেই ডিপো থেকে সংক্রমণের বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। তাই এখনই আমাদের প্রতিটি এলাকাকে লকডাউন করতে হবে। শুধু পুলিশ নয়, স্বেচ্ছাসেবকও তৈরি করতে হবে। আমরা যদি নিজেরাই নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করি, সেটাই হবে সব থেকে বেশি কার্যকর। শুধু আইন দিয়েই হবে না। এলাকার ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং সামাজিক নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবক তৈরি করে তাদের ব্যাজ পরিয়ে কাজ করাতে হবে।

আইইডিসিআরের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক বলেন, ইতোমধ্যে করোনা ভাইরাস সংক্রমিত রোগীদের শনাক্ত করে কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করতে হবে। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় যেসব করোনা রোগী আছেন, তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে নিতে হবে। শহর এলাকায় ঘনবসতি এলাকা খুবই করোনা ভাইরাসের ঝুঁকিতে রয়েছে। ঘনবসতি এলাকায় এখনও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ খুব বেশি করে শুরু হয়নি। শুরু হলে আমরা কিন্তু সেটা কন্ট্রোল করতে পারব না। কন্ট্রোল করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।

যেভাবে মানুষ শহর থেকে গ্রামে ফিরছেন, এতে করোনার ঝুঁকি কতটা, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আক্রান্ত এলাকা থেকে লোকজন গ্রামে গেলে সংক্রমণ স্বাভাবিকভাবেই বাড়বে। সামগ্রিক হিসেবে তখন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত সংখ্যা অনেক বেড়ে যাবে। সারাদেশ ছড়িয়ে পড়বে। তাই যারা গ্রামে গেছেন, তাদের পরিবারের সদস্যদের থেকে আলাদা থাকতে হবে। অবশ্যই হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। যাদের বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা নেই, সেক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করতে হবে। না হলে ঈদের আনন্দ বিষাদে পরিণত হতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৮ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০২০
আরকেআর/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।